স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেউড়া ইউনিয়নের রণমতি গ্রামের কৃষক আবদুস ছত্তার (৬৫)। বাড়ির পাশের একবিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলন দেখে স্বপ্ন বুনতে থাকেন তিনি। এপ্রিলের শুরুতেই পেকে যায় তাঁর ক্ষেতের ধান। কিন্তু করোনাকালে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় গ্রামের এই চাষী পড়েন বিপাকে। ধান কাটতে না পারার দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। এদিকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ধান মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া আশঙ্কা করছিলেন তিনি। খবর পেয়ে রণমতি গ্রামে ছুটে যায় জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। কৃষক আবদুস ছত্তারের দুরবস্থার কথা শুনে একবিঘা জমির বোরো ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আল-আমিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধান কাটা শুরু করে। চার ঘণ্টায় তাঁরা এক বিঘা জমির ধান কাটেন। পরে তাঁরা আটি বেধে ওই কৃষের বাড়িতে ধান পৌছে দেন। ধান কেটে দেওয়ায় খুশি কৃষক ছত্তার।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, করোনায় ঝালকাঠি জেলায় শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকরা তাদের ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ একটি টিম গঠন করে। যেখানেই শ্রমিক সংকট, সেখানেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে কৃষকের ধান কেটে দিবে। আজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
কৃষক আবদুস ছত্তার বলেন, আমি গরিব মানুষ কোথাও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগ এসে আমার ধান কেটে বাড়িতে দিয়ে এসেছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।