স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি দোকান থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় তিনজনকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। সোমবার দুপুরে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দোকানীর অভিযোগের পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কাঁঠপট্টি এলাকার কামাল মৃধার মুরগির দোকানে গত ২৫ মার্চ সুমন নামে এক কর্মচারী মুরগি বিক্রি করছিলেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বশির আহম্মেদ খলিফা, রুহুল আমিন রুবেল ও রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু নামে তিন ব্যক্তি দোকান খুলে রাখার জন্য ৫ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করেন। এটি খাদ্য সামগ্রীর দোকান জানালে, ওই ব্যক্তিরা দোকান কর্মচারী সুমনকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানার করারও ভয় দেখানো হয়। ভয় পেয়ে সুমন ওই তিন ব্যক্তিকে ১৮০০ টাকা দেন। বাকি টাকা পরে এসে নিয়ে যাবে বলেও হুমকি দেয় তারা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন রুবেল, আঞ্চলিক দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকার প্রতিনিধি বশির আহম্মেদ খলিফা ও বর্তমান কথার প্রতিনিধি ও রমজানকাঠি কৃষি কলেজের শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বাকি ৩২০০ টাকা আনতে ওই দোকানে যায়। দোকানের কর্মচারী সুমন টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখায় তিন কথিত সাংবাদিক। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে, ওই সাংবাদিকরা সুমনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ওই তিন ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয়। লোকজনের তোপের মুখে পালিয়ে যায় কথিত তিন সাংবাদিক। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
দোকান কর্মচারী সুমন জানায়, আমার ছোট দোকান, এখানে মুরগি বিক্রি করি। আমার দোকানে এসে তিন সাংবাদিক রুবেল, বশির ও বাচ্চু ভয় দেখায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করার হুমকি দেয়। এক দফায় তাদের চাঁদা দিয়েছি, আবারো চাঁদা নিতে আসলে লোকজন তাদের মারধর করেছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি, এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। দোকানদার অভিযোগ করলে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত বলেন, এরা কেউ ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সদস্য নয়। এদের বিরুদ্ধে যদি কেউ আইনগত ব্যবস্থা নেয়, প্রেস ক্লাব তাদের পাশে থাকবে।