Latest News
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / ঝালকাঠিতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাবা গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাবা বাবুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন পুলিশ খবর দিয়ে বাবুলকে ধরিয়ে দেন। বাবার বিরুদ্ধে বুধবার সকালে অস্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বাবা বাবুল ফকিরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের দশনাকান্দা গ্রামের বাবুল ফকিরের মেয়ে ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বাজারে নিয়ে আসার পথে রাতে একটি সেতুর ওপর বসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বাবুল ফকিরকে তার শ্যালকরা মারধর করে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করার পরে সে আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। ২০১৮ সালে সে তার মেয়েকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের একমাস পরে স্বামীর কাছ থেকে বাবুল ফকির মেয়েকে নিয়ে আসে। তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ৮০ হাজার টাকা খোরপোষ নিয়ে আবারো এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। সম্প্রতি বাড়িতে এসে গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে মা ও প্রতিবেশিরা এসে ঘটনা দেখতে পায়। বাবুল ফকির এ ঘটনার পর থেকে ঝালকাঠি শহরে এসে আশ্রয় নেয়। পরিবারকে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান। মেয়েটি ঝালকাঠি জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেনের কাছে অভিযোগ করেন। আলতাফ হেসেন কৌশলে মঙ্গলবার মেয়েটির বাবা বাবুল ফকিরকে তাঁর অফিসে ডেকে আনেন। সে অফিসে আসলে ওই কর্মকর্তা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ভিকটিম প্রাথমিক পর্যায় আমাদের অফিসে বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এবং নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলো। তার আবেদন পেয়ে আমি কৌশলে বাবুলকে ডেকে এনে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মেয়েটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
ঝালকাঠি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের বলেন, বাবার বিরুদ্ধে মেয়েটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ বাবাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।