Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / ঝালকাঠিতে গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড তিন জনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠিতে গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড তিন জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে এক গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ. মো. তোফায়েল হাসান আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার দুই আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের শেখ খাইরুল হাসান ও পিলটন সরদার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের রিপন সরদার, শাহাদাত হোসেন ও আবদুস ছালাম। খালাসপ্রাপ্ত হলেন শেখ মামুন ও গিয়াস উদ্দিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৬ মে রাতে রাজপাশা গ্রামের বাচ্চু খানের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ব্যক্তি ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে বাচ্চু চিৎকার করলে প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগম বাইরে বের হয়ে শেখ খাইরুল হাসান নামে এক একজনকে চিনে ফেলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীকে হত্যার জন্য দুই দিন পরে ১৮ মে হাসানের নেতৃত্বে ৭-৮ জন ব্যক্তি কৃষক মখবুল হোসেনের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা মখবুলের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরের দিন খুনি শেখ খাইরুল হাসান বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এসময় হাসান নিজেকে আনোয়ারা বেগমের আত্নীয় পরিচয় দেন। খুনের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই তখন হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার পরিদর্শক মোজাম্মেল হক খুনের সঙ্গে শেখ হাসানের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পায়। পরে ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি বাদী হয়ে শেখ খাইরুল হাসানসহ আটজনের নামে থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আশ্রাফ আলী তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে আট জনের নামে অভিযোগপত্র প্রদান করে। আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ষোঘণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ সিকদার।