Latest News
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / ঝালকাঠিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবিতে কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

ঝালকাঠিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবিতে কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচএম আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, অশালীন আচরণ ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তাঁর অপসারণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করা হয়। এতে নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সকল কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ে। কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী এইচএম আতাউর রহমান ঝালকাঠিতে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম করে আসছেন। তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। কোন কারন ছাড়াই কর্মচারীদের লোকজনের সামনে অপমান অপদস্ত করে থাকেন। তাঁর সেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ট হয়ে ইতোমধ্যে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেরা চেষ্টা করে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন। তাঁর অনিয়ম ও কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারনে ২০ জন কর্মচারী গত ৩১ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝালকাঠির নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। কর্মচারীদের অন্যত্র বদলি করার হুমকি দিয়ে আসছেন তিনি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে কর্মচারীদের একটি জরুরী সভা অফিসের একটি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ২০জন কর্মচারী অংশ নেয়।তাঁরা নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঝালকাঠি থেকে সরিয়ে না নিলে কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলে জানান কর্মচারীরা। নাম প্রকাশে কয়েকজন কর্মচারী জানান, চলতি অর্থবছরে ঝালকাঠি জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুকূলে রাজস্বখাতে দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এ টাকা দিয়ে নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন কাজ করার কথা ছিলো। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলীর খমখেয়ালিপনা ও অবহেলার কারনে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে এককোটি ১৭ লাখ টাকা ফেরৎ চলে যায়। ফলে নদী ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এইচএম আতাউর রহমান বলেন, আমি নিয়মিত অফিস করি। কর্মচারীরা সঠিক সময় অফিসে না আসলে আমি তাদের হাজিরা খাতায় সাক্ষর দিতে দেই না। এ কারনে অনেক কর্মচারী আমাকে সহ্য করতে পারে না। তাদের সঙ্গে আমি কখনো খারাপ আচরণ করিনি।