স্টাফ রিপোর্টার :
অতিরিক্ত চাঁদা না দেওয়ায় বরিশাল মালিক সমিতির লোকজন হাতে চালককে মারধরের প্রতিবাদে ঝালকাঠি থেকে ১৮ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। ফলে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বরিশাল ও ঝালকাঠি থেকে খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, বরগুনাসহ ১৮ রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আকস্মিক বাস ধর্মঘটের কারণে এসব রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি সমিতির রংধনু নামে একটি বাসের চালক মিলন হাওলাদারের কাছে শনিবার সকালে বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে মালিক সমিতির লোকজন স্ট্যান্ড ফি বাবদ এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রকৃতপক্ষে চাঁদার পরিমান ৯০ টাকা হলেও অতিক্তি টাকা দাবি করে তারা। অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বরিশাল-পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজন ঝালকাঠির বাস চালক মিলন হাওলাদারকে মারধর করে। এর প্রতিবাদে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি অভ্যন্তরিন রুটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। মারধরের বিচার ও চাঁদার টাকা সঠিকভাবে গ্রহণ করা না হলে ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ঝালকাঠি আন্তজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী বলেন, বরিশাল বাস মালিক সমিতির লোকজন সামান্য কিছু হলেই ঝালকাঠির বাসশ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করে। অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করায়, আমাদের এক বাস চালক তা দেয়নি। এতে তাকে মারধর করা হয়। যেখানে স্ট্যান্ড ফি ও বিভিন্ন টোল বাবদ ৯০ টাকা ধরা আছে, সেখানে বরিশাল মালিক সমিতির লোকজন এক হাজার টাকা করে বাস চালকদের কাছ থেকে টাকা নেয়। অতিরিক্ত টাকা দিতে আমরা কেউ রাজি নই। সমস্যার সমাধান না হলে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো না।
বরিশাল-পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন বলেন, ঝালকাঠির কোন শ্রমিকের সঙ্গে বরিশালের শ্রমিকদের মারামারি হয়নি। পিরোজপুরের শ্রমিকদের সঙ্গে ঝালকাঠির শ্রমিকদের হাতাহাতি হয়েছে। বরিশালের শ্রমিকরা তা ছাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা করা হবে।