ডেস্ক রিপোর্ট :
বিকালের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশের প্রতিবাদে আবারো ফুসে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে তৃতীয় দিনের মত আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ভিসিকে প্রত্যাহারের দাবী জানান। এদিকে দুপুরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লোকমান হোসেন জানান, ভিসি আমাদের আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছে এবং তাই অামাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের যতই ভয় দেখানো হোক অামরা হল ছাড়বো না এবং অান্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। আর এতে যদি কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এসএম ইমামুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ছাত্রদের আন্দোলন পুরোপুরি অযৌক্তিক। হল ছাড়ার নির্দেশের পর কেউ যদ্হিল না ছাড়ে তাহলে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার বিশ্বাবদ্যালয় কতৃপক্ষ নেবে না। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অায়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার আন্দোলনের দিন ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন করলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার গভীর রাতে বরিশাল বিশ্বাবদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয় এবং বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।