স্টাফ রিপোর্টার :
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সদর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার ফলে তাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। তবে তিনি দাবি করেছেন দল থেকে এখনো কাউকে মনোনয় দেওয়া হয়নি। তাই দলের প্রার্থী হয়েই নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। যদি দল মনোনয়ন না দেন, সেক্ষেত্রে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রে দলের একক প্রার্থী হিসেবে ব্যবসায়ী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমানের নাম পাঠানো হয়। এর পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন খান আরিফুর রহমানই হচ্ছেন দলের প্রার্থী। অন্যদিকে মতবিনিময় সভায় রাজ্জাক আলী সেলিম বলেন, দলীয় প্রার্থীর তালিকায় তিন-চার জনের নাম পাঠানো কথা থাকলেও সেখানে একজনের নাম পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উপলব্ধি করে দেখবেন বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন। কি কারণে একজনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হলো, সে বিষয়টিও কেন্দ্রীয় কমিটিকে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান রাজ্জাক সেলিম। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের তাঁর কর্মীসমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্জাক আলী সেলিমের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ব্যক্তিদের বক্তব্যের জবাবে সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম বলেন, আমি যখন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন পরিষদের কোন টাকা পয়সা লুট হয়নি। সঠিকভাবে প্রকল্পে সুষ্ঠু বন্টন হয়েছে। এমনকি আমি সম্মানিও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছি। আমি যে পরিস্থিতিরই সম্মুখিন হইনা কেন, সবসময় দল ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকবো। আমু ভাই আমার নেতা, আশাকরি তিনি আমার সঙ্গেই থাকবেন। সাধারণ মানুষের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম বলেন, আমি দলের প্রার্থী হতে চাই, বিদ্রোহী নই। দল আমাকে মনোনয়ন না দিলে সতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে লড়বো।