স্টাফ রিপোর্টার :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা ১১টি মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া আইনকে অবজ্ঞা করে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যখন বিচারকার্য শুরু হয়েছে, তখনই তিনি বললেন অসুস্থ। তিনি আদালতেও যাচ্ছেন না, তাঁর অসুস্থতার কারণে এবং সুবিধার্থেই তিনি যেখানে অবস্থান করছেন সেখানেই আদালত স্থাপন করা হয়েছে। তিনি সেখানেও যাচ্ছেন না। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আইন অমান্য করে যাচ্ছেন। তিনি দেশবাসীকেও আইন অনাম্য করার শিক্ষা দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী। আজ শনিবার ঝালকাঠিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২তলা ভিতবিশিষ্ট ৮ তলা ভবনটি নির্মাণ করছে।
খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় যেকোন স্থানে আদালত বসতে পারে। তাই খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। এখানে অন্যায়ের কিছুই করা হয়নি। তাঁর আইনের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই। আমাদের দেশের বিজ্ঞ লোকেরা এটাকে আবার সমর্থন করছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলা ভাই সৃষ্টি করে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল। তারা দেশটাকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এই অপশক্তি আর যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার না করে বিএনপি পুরস্কৃত করেছিল মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, পচাত্তরের পনের আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এই দলটিই বিচার বন্ধের কালো আইন পাস করেছিল। বিচার করার বদলে তারা হত্যাকারীদের পুরস্কৃতও করেছিল। জনবিরোধী দলটির কর্মকান্ড সম্পর্কে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, আইনের শাসনে বিশ্বাসী বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য বিচারকদের নিরাপত্তা প্রদান, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সরকার নানামুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে হচ্ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বরিশাল গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান বক্তব্য দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান রসুলসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উস্থিত ছিলেন।