স্থানীয় প্রতিনিধি :
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভা বর্জন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বাইপাস মোড়ের দলীয় প্রধান কার্যালয় চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সভার আয়োজন করলে দলের একাংশ তা বর্জন করে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ে পাল্টা সভার আয়োজন করে।
জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা ও দলীয় বিভেদ দুর করতে যৌথ সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে সাংসদ হারুনকে দুর্নীতিবাজ আখ্যাদিয়ে সভায় যোগ দেয়নি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশকিছু নেতা। তারা সকাল ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মেজবাউদ্দিন মাসুদ সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, রিয়াজ উদ্দিন মাতুব্বর, দপ্তর সম্পাদক জালাল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক নাসির উদ্দিন মৃধা, উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এমপি বজলুল হক হারুন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এমন একজন ব্যক্তিকে আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। বক্তারা আরো বলেন, প্রথমে বিএনপি ও পরে জাতীয় পার্টি থেকে আসা জামায়াত ঘেঁষা হারুনকে কি কারণে বার বার আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে! হারুন এমপি নির্বাচিত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন। তাই হারুনকে বার বার বর্জন করা হবে।
এদিকে সাংসদ হারুন তাঁর বক্তব্যে বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি আমলে রাজাপুর একটি সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এখানে শান্তি বিরাজ করছে। এই শান্তি ও উন্নয়ন ধরে রাখতে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী। দলের মধ্যে কোন বিভেদ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে।’ নিজেকে নায়ক উল্ল্যেখ করে সাংসদ হারুন বলেন, ‘সিনেমায় যেমন শেষ পর্যন্ত ভিলেনের পরাজয় হয় তেমনি রাজাপুরেও ভিলেনের পরাজয় হবে এবং আমিই জয়ী হবো।’
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক খাইরুল আলম সরফরাজ, সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরউজ্জান মনির, উপজেলা নারী ভাইস্ চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদারসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।