স্থানীয় প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা কুলকাঠি এলাকা থেকে নিখোঁজের ২০ দিন পর স্কুল ছাত্রী রূপা হালাদার ওরফে খাদিজা বেগমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে। সে এখন বিবাহিত ও মুসলাম দাবী করে তাঁর পিত্রালয়ে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জানা যায়, নলছিটি উপজেলার সরমহল গ্রামের হতদরিদ্র মো. লিটন হাওলাদারের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলামের (২২) সঙ্গে বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সজল হালদারের স্কুল পড়–য়া মেয়ে রূপা হালদারের প্রেমের সর্ম্পক হয়। সেই প্রেমের সূত্র ধরেই গত ২০ এপ্রিল ওই স্কুল ছাত্রী তাঁর অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মো. জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে হাজির হন। সে বাকেরগঞ্জ সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। প্রেমিক যুগল হিন্দু-মুসলিম হওয়ায় বিবাহ নিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ঝালকাঠির আদালত থেকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তাঁরা বিয়ে করে। সেখানে সনাতন ধর্মালম্বী রূপা হালদারকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম করা হয়। নাম রাখা হয় খাদিজা আক্তার। প্রেমিক যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই উপস্থিত হন বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মিনহাজ। তাঁরা অপহরণ মামলার ভিকটিম রূপা হালদারকে উদ্ধার করে বুধবার রাতেই বাকেরগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। পুলিশ জানান, স্কুল ছাত্রী রূপা হালদারের বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ছেলের বাবা লিটন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, প্রেমের ঘটনা ঘটলে অপহরণ মামলা ভিন্নখাতে যাবে।
কুশঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন সিকদার বলেন, প্রেমের ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ভিন্নখাতে নিয়ে মিথ্যা অপহরণ মামলা দিয়েছেন।
অপহরণ মামলার ভিকটিম রূপা হালদার ওরফে খাদিজা আক্তার বলেন, আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছি। এখন আমি সম্পূর্ণভাবে মসলমান। আমি সেচ্ছায় স্বামী মো. জাহিদুল ইসলামের সাথে চলে গেছি। সেখানে অপহরণের কোন ঘটনা নেই।