স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে বৈরি আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে প্রচন্ড রোদে পুড়ছিল প্রাণিকূল। বেলা ১১.৪০ মিনিটে শুরু হয় ধমকা হাওয়া। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাতাসের তীব্রতা কিছুক্ষণ স্থায়ী হওয়ার পরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে। বৈরি আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। পথ-ঘাট ফাকা হয়ে যায়। বৃষ্টির মাঝে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়। ক্ষণেক্ষণে গর্জণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পথচারীরা। একটু বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্নস্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুভোগে পড়েন দিনমজুররা। বাতাস শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মোমবাতি জালিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে অফিস, ব্যাংক-বীমায়।
জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক এক ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছেন, ঝালকাঠিতে আজ সকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সকলকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বজ্রপাত এড়িয়ে চলার ৯ উপায় :
১. ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারেন। এ সময় কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় থাকা যাবে না।
২. ফাঁকা জায়গায় যাত্রী ছাউনি,উঁচু গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ইত্যাদিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বজ্রপাতের সময় এসব জিনিস থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৩. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৪. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।
৫. বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাস পেলেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।
৬. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করুন। যদি প্রচণ্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্মুখীন হন তবে গাড়ি কোনো বারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাঁচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
৭. বৃষ্টির সময় রাস্তায় জল জমাটা আশ্চর্য নয়। তবে বাজ পড়া অব্যাহত থাকলে সে সময় রাস্তায় বের না হওয়াই মঙ্গল। একে তো বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। উপরন্তু কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
৮. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে পা ঢাকা জুতো পড়ে বের হোন। রবারের গাম্বুট এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে।
৯. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় চলাচলের সময় আশেপাশে খেয়াল রাখুন। যে দিকে বাজ পড়ার প্রবণতা বেশি সে দিক বর্জন যাওয়া এড়িয়ে চলুন। কেউ আহত হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।