স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির পুরাতন কলেজ ও পৌরসভা খেয়াঘাটের ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দারের কার্যালয়ে দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয়। সেখানে দরপত্রসমূহ প্রকাশ করা হয়। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার, পৌর সচিব শাহিন সুলতানাসহ পৌরকর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, প্রতিবছর শতকরা দশভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে। এবছর উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করায় উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন করে মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি। পিটিশনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের অ্যাডভোকেট প্রত্যয়ন কপিসহ ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ঝালকাঠি পৌর মেয়র বরাবরে আবেদন করেন মাঝিমাল্লা সমিতির নেতারা। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মেয়র।
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠির খেয়াঘাট সমূহের জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা একটি উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মাঝিমাল্লা (পাটনি) সম্প্রদায়ের পাবার কথা। উন্মুক্ত ইজারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করা হয়। পিটিশনের শুনানী শেষে আদালত উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করেছে। এর প্রেক্ষিতে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায়ের ইজারা পেতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
তিনি আরও জানান, এখন থেকে প্রথমে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নিবে। যদি কোন কারণে সমিতির পক্ষ থেকে ইজারা নিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করতে পারবে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে।
পৌর সচিব শাহিন সুলতানা জানান, আমরা শুধুমাত্র আবেদিত দরপত্র সমূহ উন্মুক্ত করে প্রকাশ করছি। বাছাই করে গুছিয়ে রাখছি। আমরা এর বেশি কিছুই করতে পারবো না।
নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার জানান, ঝালকাঠির পুরাতন কলেজ ও পৌর খেয়াঘাটের ইজারা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। এ মূহুর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। দরপত্র আহ্বানের পরে টেক কমিটি আছে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।