Latest News
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ।। ২রা কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / স্বাস্থ্য / রাজাপুরে দুটি ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

রাজাপুরে দুটি ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

স্থানীয় প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির রাজাপুরে দুটি ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টেকনোলজিস্টের সীল ও সই জালিয়াতি করে রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম থানায় ও ইউএনওর কাছে স্থানীয় মমতাজ ডায়াগণস্টিক সেন্টার ও নিউ ডিজিটাল ডায়াগণস্টিক সেন্টারের মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ দুটি ডায়াগণস্টিক সেন্টারে পূর্বে কর্মরত ছিলেন নাজমুল ইসলাম। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরও তাঁর নামের সীল ও সই জালিয়াতি করে গত ৩১ মার্চ থেকে ৪ দিন ধরে বিভিন্ন রোগীকে নানা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে ওই দুই ডায়াগণস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে জানাযায়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম রাজাপুরের একই মালিকের মেডিকেল মোড়ের মমতাজ ডায়াগণস্টিক সেন্টার ও রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের নিউ ডিজিটাল ডায়াগণস্টিক সেন্টার ২০১৬ সাল থেকে টেকনোলজিস্টের চাকরি করে আসছিলেন। ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিভিন্ন অনিয়ম ও যন্ত্রপাতির ত্রুটির কারণে তিনি গত ৩১ মার্চ শুক্রবার চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান। কিন্তু গত ১ এপ্রিল শনিবার থেকে ওই ডায়াগণস্টিক সেন্টারের মালিকরা আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলামের নামে সীল ও স্বাক্ষর জাল করে রোগীদের রিপোর্ট দিচ্ছেন। নাজমুল আরো জানায়, ওই ডায়াগণস্টিক সেন্টার দুটিতে কাজ করার সময় তিনি ছুটিতে গেলে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে রোগীকে দিতো ডায়গণস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের ঝাড়–দার দিয়ে ইসিজি করানো হয় এবং মালিক ও কর্মচারি নজরুল ইসলাম এক্স-রে করেন বলেও অভিযোগ নাজমুলের।
এ বিষয়ে ডায়গণস্টিক সেন্টারের একজন মালিক এমদাদুল হক চান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের নতুন টেকনোলজিস্ট আছে। তাঁর নাম মরিয়ম। তিনি রিপোর্ট দিচ্ছেন। মরিয়ম নতুন যোগদান করায় তাঁর সীল ছিল না বিদায় নাজমুলের সীল ব্যবহার করা হয়েছে। একজনের সীল অন্য জন কিভাবে ব্যবহার করে রিপোর্ট দেন, এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তিনি বলেন, নাজমুলকে বাদ দেওয়ায় সে সমস্যা করতেছে।
রাজাপুর থানার ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।