কে এম সবুজ :
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ঝালকাঠির ফসলের মাঠ তলিয়েছিল, সেই নিউজের খবর নিতে ফোন করেছিলেন সাংবাদিক শ্যামল সরকার। বলেছিলাম, কিছুক্ষণ পরে আপনাকে দিচ্ছি। এটাই ছিল গত ৫ ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গে শেষ কথা। ২০০৮ সালের শেষের দিকে যখন ঝালকাঠিতে সাংবাদিকতা শুরু করি, তখন থেকে অসংখ্য নিউজের আদান প্রদান ছিল আমাদের। উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। তাই স্যার বলেই সম্মোধন করতাম। অত্যন্ত হৃদতার সম্পর্ক ছিল আমাদের। বয়সে ছোট হলেও সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভালোবাসায় কখনো ঘাটতি ছিল না তাঁর। আমার দৃষ্টিতে ঝালকাঠিতে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট লেখায় তাঁর সবচেয়ে বেশি দক্ষতা ছিল। তিনি ছিলেন একজন মেধাবী সাংবাদিক। সেই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে নেই। শুধু রেখে গেছেন নানা স্মৃতি। প্রেসক্লাবে তাঁর শূন্য চেয়ারটি পড়ে আছে। লকারের চাবিটিও কখনো বাসায় নেননি। নামের পাশে ঝুলছে চাবিটিও। প্রেসক্লাবে আরেকটি ছবি যুক্ত হবে, না ফেরার দেশে চলে যাওয়া আরো সাত সাংবাদিকের সঙ্গে শ্যামল সরকারের। এক সঙ্গে ভ্রমণ, সংবাদ সংগ্রহ, নিউজ নিয়ে বিশ্লেষণ, চা পান আর কি হবে? কখনোই সম্ভব নয়। আপনার প্রতি ঋণ থেকেই গেল। যেখানেই থাকেন ভালো থাকুন প্রিয় শ্যামল স্যার।
গত শুক্রবার রাত ৮.৫০ মিনিটে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের বাসায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি, এটিএন বাংলা এবং এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি শ্যামল চন্দ্র সরকার (৬৪) পরলোকগমন করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ও এক কণ্যা সন্তনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সদস্যরা। শনিবার সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মরদহে নিয়ে আসা হয় প্রেসক্লাব চত্বরে। সেখানে প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিনিট, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার। পরে পৌর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শ্যামল সরকার ছিলেন গবেষক ও শিক্ষক। তিনি ঝালকাঠির উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ থেকে ২০১৮ সালে অবসরে যান। ‘ঝালকাঠির মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি ইতিহাস সম্বলিত বই লিখেছিলেন তিনি।
তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক, ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু। এছাড়াও জেলা আওয়ামীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, প্রগতি লেখক সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শোকবার্তা দিয়েছেন।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …