Latest News
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে হামলার ১৮তম বার্ষিকী, ধিক্কার দিবস পালিত

ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে হামলার ১৮তম বার্ষিকী, ধিক্কার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে হামলার ১৮তম বার্ষিকী ‘ধিক্কার’ জানিয়ে পালন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হামলাকারীদের প্রতি ধিক্কার জানান সাংবাদিকরা। দিনটিকে ধিক্কার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্তের সভাপতিত্বে ধিক্কার দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, সহ সভাপতি মানিক রায় ও সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার। সভায় প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত তৎকালীন ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোট সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠজন একজনের বিরুদ্ধে বরিশালের একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এতে তার ক্যাডাররা সাংবাদিক মো. হুমায়ূন কবিরকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২০০৩ সালের এ দিনে (৮ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির সাংবাদিকরা মৌনমিছিল ও জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি নিলে জেলা বিএনপির একটি গ্রæপ পুলিশের উপস্থিতিতে ঝালকাঠি প্রেসক্লাব এবং বরিশালের সাংবাদিকদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসে হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। এ সময় ঝালকাঠি ও বরিশালের ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। ওই গ্রæপটি পরে ঝালকাঠি থেকে প্রকাশিত দৈনিক শতকণ্ঠ কার্যালয় এবং কয়েকজন সাংবাদিকের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়। তারা রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসায় এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে সাংবাদিকদের খুঁজতে থাকে। শহরে মাইকিং করে কয়েকজন সাংবাদিককে অবাঞ্চিতও ঘোষণা করা হয়। পরে তারা ১০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিছিলে হামলা করার মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় উল্টো মামলা দায়ের করে। বিএনপি ক্যাডারদের পাশাপাশি পুলিশও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা শহর ছেড়ে ঢাকা চলে যেতে বাধ্য হন। দেশজুড়ে এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে এ ঘটনায় নিন্দা আসতে থাকে। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোও এ নিয়ে সোচ্চার হয়। সংশি¬ষ্ট সাংবাদিকরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। অবশেষে টনক নড়ে সরকারের। স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি ফয়সালা করার উদ্যোগ নেয়। উপযুক্ত বিচারের আশ্বাসে সাংবাদিকরা ঝালকাঠিতে ফিরে আসলেও আজ পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম হাইকোর্টর নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …