Latest News
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / কিশোরীকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ, সকালে বিয়ে

কিশোরীকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ, সকালে বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার :
দশম শ্রেণির (১৫) ছাত্রীকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে এক যুবক। রাতভর ধর্ষণের পরে তাকে রাস্তার পাশে একটি বাগানে ফেলে রেখে চলে ওই যুবক। সকালে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের চাপের মুখে ধর্ষকের সঙ্গেই ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সরমহল গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সরমহল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে আল আমিন খান (২৬) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি হয়নি কিশোরী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আল আমিন তাঁর দুই মামাতো ভাইকে নিয়ে মেয়েটির বাড়ি যায়। কৌশলে দরজা খুলে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সরমহল গ্রামের জোড়াকালভার্ট এলাকায় রাতভর ধর্ষণ করে। মেয়েটি জ্ঞান হারালে রাস্তার পাশে একটি বাগানে তাকে ফেলে চলে যায় আল আমিন। শুক্রবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরে এলে মেয়েটি তাঁর পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। এরই মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আল আমিন ও তাঁর লোকজন মেয়েটির পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে। আল আমিনের পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য তদবির শুরু করে। নানা চাপের মুখে মেয়েটির পরিবার ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানায়নি।
এ সুযোগে বেলা ১২টার দিকে সরমহল গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে মেয়ে পক্ষের লোকজন নিয়ে বৈঠক করেন স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যর স্বামী টিপু হাওলাদার, সরমহল গ্রামের সোহেল ফরাজী, রোকন, সোহেল ও দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে ধর্ষণের ঘটনার জন্য উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি হয় আল আমিন। পরে স্থানীয় এক কাজী ডেকে দুই লাখ টাকা দেনমহর ধার্য করে বিয়ে পরানো হয়। এ সময় মেয়ের নামে ৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেওয়ার জন্য আল আমিন লিখিত চুক্তি করেন। আল আমিন পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। তাঁর বাবা রশিদ খান সরমহল গ্রামের একজন কৃষক।
মেয়েটির বিয়ের বয়স না হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বিয়ের তারিখ দেখায়নি কাজী মো. জহিরুল ইসলাম। বিয়ে পরানোর একটি ছবি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত এক যুবক বলেন, ছেলে মেয়ের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কাজী নিকাহ রেজিস্ট্রারে উভয় পক্ষের সাক্ষিদের সই নেন। আল আমিনও স্বাক্ষর করেন। বিয়ে পরিয়ে দোয়া মোনাজাত করেন কাজী। পরে আল আমিন ওই মেয়েটির নামে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দিবে বলে লিখিত দেন।
এ ব্যাপারে সরমহল গ্রামের টিপু হাওলাদার বলেন, দুই পক্ষই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি জানান। সবাই মিলে ছেলে মেয়ের বিয়ের কথা বললে, উভয় পরিবার রাজি হয়ে যায়। পরে কাজী ডেকে তাদের বিয়ের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। মেয়ের বিয়ের বয়স হতে ৪ মাস বাকি আছে। বয়স হলে গেলে রেজিস্ট্রিশনে তারিখ দেওয়া হবে।
বিয়ের কাজী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে কথাবার্তা হয়েছে। এখনো বিয়ে পরানো হয়নি, কারণ মেয়ের বয়স হয়নি। বয়স সম্পন্ন হলে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এ রকমের কোন ঘটনা আমার জানা নেই। ধর্ষণ বা বিয়ের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …