স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে হলফনামায় মিথ্যা ও ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরও তাঁর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করায় রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী তালুকদার। রবিবার লিয়াকত আলী তালুকদারের পক্ষে আপিল দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী আব্দুল মান্নান রসুল ও আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু। সোমবার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
অভিযোগে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য গত ১৭ মার্চ রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী তালুকদার। পরেরদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সাবেক মেয়র গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত আফজাল হোসেন রানা। ১৯ মার্চ যাচাই বাছাইয়ের দিন আফজাল হোসেন রানার দাখিলকৃত হলফনামায় অনেক ভুল এবং মিথ্যা তথ্য রয়েছে দাবি করে লিখিতভাবে তাঁর মনেয়নপত্র বাতিলের আবেদন জানান লিয়াকত আলী তালুকদার। এর পরেও রিটার্নিং কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। অথচ মিথ্যা ও ভুল তথ্য থাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ফরিদ হোসেনের মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
হলফনামা এবং আয়কর রির্টান পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আফজাল হোসেন রানার দাখিলকৃত নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমাণে নগদ টাকা দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার এবং ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ দেখানো হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। অথচ আয়কর রির্টানে গত ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত নগদ অর্থের পরিমান দেখানো হয়েছে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৭টাকা। হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের বিবরণে নিজের দুই ভরি স্বর্ণ, স্ত্রীর ১৩ ভরি স্বর্ণ এবং কন্যার নামে ২০ ভরি স্বর্ন দেখানো হয়েছে। অপরদিকে আয়কর রির্টানে নিজের এবং স্ত্রীর নামে ৩৫ ভরি স্বর্ন দেখানো হয়েছে। হলফনামায় স্থাবর সম্পদের বিবরণে আফজাল হোসেনের নামে ১ একর ৩৬.৪৬ শতাংশ এবং স্ত্রীর নামে ৩.৫৭ শতাংশ জমি দেখানো হয়েছে। কিন্তু আয়কর রির্টানে আফজাল হোসেনের নামে জমির পরিমান দেখানো হয়েছে ১ একর ৭২.৫০ শতাংশ। এছাড়া হলফনামার ১৪ পৃষ্ঠায় হলফকারীর স্বাক্ষরের নিচে কোন তারিখ ছিল না। মেয়র প্রার্থী লিয়াকত আলী তালুকদার অভিযোগ করেন, এসব বিষয় রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের কাছে প্রমানসহ উপস্থাপন করা হলেও তিনি অজ্ঞাত কারনে আফজাল হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তাই আমি আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেছি। আশা করছি তিনি আমার আপিল গ্রহণ করে আফজাল হোসেনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করবেন।
লিয়াকত আলী তালুকদারের আইনজীবী আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু বলেন, ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, যাচাই বাছাইকালে গত ১৯ মার্চ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ফরিদ হোসেনের হলফনামায় ইতিপূর্বে নিস্পতি হওয়া ফৌজদারী মামলার তথ্য না দেওয়ায় তাঁর মনোনয়পত্র বাতিল ঘোষণা করেন কিন্তু, মেয়র প্রার্থী আফজাল হোসেন মিথ্যা তথ্য দিলেও তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেননি; যা পক্ষপাতমূলক বলে আমরা মনে করি।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা যাচাই বাছাই করে একটি আদেশ দিয়েছি, এর বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী চ্যালেঞ্চ করলে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করতে পারবেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসকই দিবেন।
জেলা প্রশাসক ও পৌরসভা নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ মো. জোহর আলী বলেন, সোমবার আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সকলের বক্তব্য শুনে এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …