কে এম সবুজ :
ঝালকাঠির বিষখালী নদীর ভাঙনে এক সময় বসতঘর হারিয়েছেন আবদুস ছালাম (৫০)। পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন চরভাটারাকান্দা আবাসন প্রকল্পে। ছোট একটি চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চলতো তাঁর। বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে শান্তিতেই ছিলেন। দুই ছেলে ঢাকা গার্মেন্টসে চাকরি করে বাবার হাতে তুলে দিতেন টাকা। অভাব দূর হয়ে যায়। তাদের সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি। করোনায় আয় হারিয়ে আবারো বেকার হয়ে পড়েছেন আবদুস ছালাম। চায়ের দোকানে মানুষের যাতায়াত কমে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি। গার্মেন্ট বন্ধ থাকায় তিন মাস ধরে বাড়িতেই আছেন দুই ছেলে। ৮ জনের সংসার নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন ছালাম। ঈদের আনন্দ নেই তাদের পরিবারে। তিন বেলা খাবারের খোঁজে তাকে এখন দিনমজুরী করতে হচ্ছে। কাজ পেলে খাবার ঝোটে, না পেলে নাখেয়েও থাকতে হয়। ঈদের দিন সেমাই কেনার টাকাও নেই তাঁর কাছে।
শুধু ছালামই নয়, করোনায় দুর্বিষহ অবস্থার শিকার ঝালকাঠির বিষখালী নদী তীরের চরভাটারাকান্দা আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবার। এছাড়াও সুগন্ধা নদী তীরের শহরতলীর কিস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারাও রয়েছেন অভাবে। রোজগার বন্ধ থাকায় ঈদের আনন্দ নেই তাদের ঘরে।
চরভাটারাকান্দা আবাসের আবদুস ছালাম বলেন, বিষখালী নদীতে খাইছে ঘর। ওই সময়ই জীবনের সব চাইতে বড় ক্ষতি হইছে। পরিবার লইয়্যা মানসের বাড়িতে রইছি। পরে সরকার একটা ঘর দেছে আবাসনে। আবারো ভাল থাকার স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু করোনায় সব স্বপ্ন শ্যাষ কইর্যা দেছে। গরিবকে আরো গরিব করছে। আমাগো কোন ঈদ নাই।
কিস্তাকাঠি আবাসনের বাসিন্দা মানিক হাওলাদার (৭০) বলেন, ভিক্ষা করে তিন বেলার খাবার জোগাই। মানসের হাতে টাকা নাই। আমারে দেবে কেমনে। আগে দশ টাহা ভিক্ষা দিতো, এহন দুই টাহাও দেয় না। এক বেলা খাইলে, দুই বেলা না খাইয়্যা থাকতে হয়। পৌরসভা থেকে আমাগো কয়েক দফায় চাউল দিছে, নাইলে মইর্যা যাইতাম।
এ আবাসনে বসবাসকারী পেয়ারা বেগম (৬০), নুরজাহান বেগম (৫৫), মানিক হাওলাদার (৭০), মখবুল হোসেনসহ (৬৫) আরো কয়েকটি পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়ায় নেই ঈদের আনন্দ।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …