Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / আইন-আদালত / কাঁঠালিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কাঁঠালিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার :
সালিশের নামে এক পক্ষের কাছ থেকে জোড় পূর্বক পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগে পাওয়া গেছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচঁরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের নামে গ্রেপ্তাারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঝালকাঠির একটি আদালত। আজ বুধবার ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সেলিম রেজা এ আদেশ প্রদান করেন। কাঁঠালিয়ার মহিষকান্দি গ্রামের গৃহবধু ছালেহা বেগম এ মামলাটি দায়ের করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজী ছাড়া অন্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের মো. হারুন হাওলাদার, খালেক মুন্সি এবং দক্ষিণ চেচঁরি গ্রামের কবির হোসেন বেপারী।
মামলার বিবরণে জানাযায়, কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচঁরিরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দি গ্রামের মো.বারেক ডাকুয়ার সঙ্গে একই বাড়ির আবুল কালাম ডাকুয়া ও সেলিম ডাকুয়ার জমিজমা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের কাছে গেলে তিনি বারেক ডাকুয়ার কাছ থেকে সালিশ মিমাংশা করার জন্য বিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু সালিশ না করে দীর্ঘদিন ঘুরাতে থাকেন। কিছুদিন পর ৮ মার্চ কালাম ডাকুয়া ও সেলিম ডাকুয়া বারেক ডাকুয়ার রোপন করা প্রায় পচিশহাজার টাকা মেহগনি, রেইনট্রি ও চাম্বল গাছের চারা কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার বিষয়ে বারেক ডাকুয়া ৮ মার্চ কাঁঠালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী খবর পেয়ে জিডি করতে না দিয়ে বারেক ডাকুয়াকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনেন। এসময় তিনি বারেক ডাকুয়াকে বলেন ‘আমার কাছে জিজ্ঞেস না করে কেন থানায় জিডি করতে গেলি! আমি সালিশ করে দেব আমাকে আরও ত্রিশ হাজার টাকা দিতে হবে।’ তখন বারেক ডাকুয়ার ছেলে জালাল ডাকুয়া (২৫) ইউপি চেয়ারম্যান জাকির ফরাজীকে বলে ‘আপনি আগে সালিশের কথা বলে বিশ হাজার টাকা নিয়েছেন এখন আবার ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ চাচ্ছেন!’ এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির ফরাজী একটি পাহাড়ি বেতের লাঠি দিয়ে জালাল ডাকুয়াকে পেটানো শুরু করে। এক পর্যায়ে জালালকে পদদলিত করে এবং শ্মাসরোধে হত্যার চেস্টা করে। জাকির ফরাজী এবং অন্যান্য আসামীরা জালালের বাবা বারেক ডাকুয়া এবং মা ছালেহা বেগমকেও মারধর করে। তাদের কাছ থেকে সাতটি সাদা রেফ কাগজে জোড় পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে হুমকি দেয় যে, ‘প্রাণে বাঁচতে চাইলে বাড়ি ঘরের মায়া ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবি। না গেলে ইয়াবা দিয়া তোর ছেলেকে পুলিশে দিয়ে দেব।’ এ ঘটনার পর জালাল ডাকুয়াকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৩ মার্চ জালাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তার মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে বুধবার আদালতে আটজনের নামে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
এ ব্যাপারে চচঁরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির জাকির হোসেন ফারাজী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ ওই নারীকে দিয়ে আদালতে অভিযোগ দিয়েছে। ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।