স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির রাজাপুরের বামুন খান গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল হোসাইন ও তাঁর বাবা ফারুক হোসেনকে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের বাসিন্দা রাজাপুর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি জামায়েত নেতা মো. সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ইসমাইল হোসাইন গত শনিবার রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি এবং সোমবার ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
রাজাপুর থানায় দায়ের করা জিডি ও সোমবার ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে ইসমাইল হোসাইনের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, রাজাপুর উপজেলার বামুন খান গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে মো. ইসমাইল হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সম্প্রতি সে বাড়িতে আসে। গত ২০ মে বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রাজাপুর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা জামায়েতের আমির মাওলানা আবুবকরের জামাতা সাইদুল ইসলামের দুই মামাত ভাই ওয়াহিদুজ্জামান এবং কামরুজ্জামানের সঙ্গে ইসমাইল হোসাইনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২৫ মে সাইদুল ইসলাম, তার দুই মামাত ভাই ওয়াহিদুজ্জামান ও কামরুজ্জামান মিলে ইসমাইলকে লাঠি দিয়ে ব্যপক মারধর করে। মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষ রাজাপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করলে এসআই খোকনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন ওসি জাহিদ হোসেন। এসআই খোকনের মধ্যস্ততায় উভয় পক্ষ তিনশত টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে দুইজন ইউপি সদস্যসহ পাঁচজন গন্যমান্য ব্যাক্তিকে সালিশ মনোনিত করেন। সালিশদারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াহিদুজ্জামান ও কামরজ্জামান পরিবার পরিজন নিয়ে ইসমাইলদের বাড়িতে ৩০ মে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেয়। উভয়পক্ষ শন্তিপিূর্ণ সহবস্থান মেনে নিলেও জামায়েতে ইসলামীর মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামের উপজেলা প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল হোসাইনকে সন্ত্রাসী এবং শিবির ক্যাডার উল্লেখ করে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা আজগুবি এবং মানহানীকর সংবাদও প্রকাশ করে সে। সংবাদ দেখে ইসমাইল ও তাঁর বাবা ফারুক হোসেনকে সাইদুল ইসলামের কাছে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণ জিজ্ঞেস করলে সে তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বলে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে নিজেকে বড় মনে করো, একাধিক মামলা মোকদ্দমা করে জীবন অন্ধকার বানিয়ে দেব। চাকরি করে খাওয়া লাগবে না।
ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্জেন্ট জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য কোনকালে শিবিরের বা অন্য রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। অথচ আমার এলাকার বাসিন্দা রাজাপুর উপজেলা শিবিরের দুইবারের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে ইউনিয়ন জামায়াত নেতা এবং উপজেলা জামায়েতের আমিরের মেয়ে জামাই সাইদুল আমাকে শিবির বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দিয়েছি। থানা মামলা না নিলে আদালত খুললে আমি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করবো।
রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ইসমাইল হোসেন ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইনে সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত এবং একটি সাধারণ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৯ সাল পর্যন্ত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। এখন আমি ছাত্রলীগ করি। আমি যেহেতু দৈনিক সংগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইনে সাংবাদিকতা করি তাই এলাকার এক বাড়িতে ইসমাইল হামলা করলে বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি। ইসমাইলের সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোন দ্বন্দ নাই।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …