স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আবারো বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ। বিষখালী নদীর অরক্ষিত ভাঙা বেড়িবাঁধটি আবারো ভাঙতে শুরু করেছে। পানির তোড়ে দুইদিনে নতুন করে আরো এক কিলোমিটার ভেঙেছে। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ৫০ গ্রামের মানুষের বসতঘর তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে জেলার চার উপজেলার নদী তীরের বাসিন্দাদের ঘরে। ঝড় ও জলোচ্ছাস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরের বাসিন্দারা। অল্প দিনের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত, সবতঘর ও মাছের ঘের।
নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, জেলার চার উপজেলার শতশত হেক্টর জমির ফসল, বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সুগন্ধা তীরবর্তী ঝালকাঠি সদরের দেউরী, কিন্তাকাঠি, ভাটারাকান্দা, নলছিটির উপজেলার নাচনমহল, ভবানিপুর, হদুয়া, শহরের পুরানবাজার, মল্লিকপুর থেকে দপদপিয়া এবং বিষখালী তীরবর্তী রাজাপুরের বড়ইয়া ও কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া, আমুয়া, পাটিখালঘাটা ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কৃষকরা জানান, আউশের বাজীতলাসহ লতাকৃষি নিমজ্জিত রয়েছে। বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে তিন কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারো নদীর পানি বেড়ে গেছে। যেটুকো ফসল ভালো ছিলো, তাও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …