স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠিতে নির্যাতনের পর রুনা লায়লা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে অবশেষে স্বামী ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতরাতে রাজাপুর থানার ওসি বাদী গৃহবধূর ভাই মিজানুর রহমানকে ডেকে এনে মামলা রেকর্ড করেন। রুনা লায়লাকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা না নেওয়ায় লাশ নিয়ে শুক্রবার প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে নিহতের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজনরা। মিছিল থেকে স্বামী ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এ ঘটনায় রাজাপুর থানার ওসি হত্যাকারীর পক্ষ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর স্বামী রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছে। যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় রুনা লায়লাকে নির্যাতন করতো স্বামী আব্দুল কুদ্দুস। নির্যাতনের পরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের বড়ভাই মিজানুর রহমান বলেন, লাশ নিয়ে মিছিল করার খবর পেয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার আমাকে ফোন করে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছেন। পরে ওসি সাহেবও আমাকে থানায় আসতে বলেন। আমি থানায় গেলে তারা অভিযোগটি রেকর্ড করেন। তবে এখনো অসঙ্গতি রয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে আমার বোনের শরীরের আঘাতের যেসব চিহ্ন রয়েছে তা উঠে আসেনি। টাকায় যে সব হয়, তা প্রমান হয়েছে সুরতহাল রিপোর্টে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন জানান, মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি, তবে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …