স্টাফ রিপোর্টার :
গভীর রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঝালকাঠিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার দিনে দুই দফায় কাল বৈশাখী আঘাতহানার পরে রাত দেড়টার দিকে আবারো প্রচন্ড গতিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। এতে জেলার চারটি উপজেলায় দুই শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছ। গাছ চাপায় বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য বসতঘরের চালা উড়ে যায়। ২২ ঘন্টা পর নলছিটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, রাতে ১০ মিনিটের স্থায়ী কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ উপড়ে পড়ে। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে ছিড়ে যায়। এতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে নলছিটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। ২২ ঘন্টা পর নলছিটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। নলছিটির রানাপাশা, কুশঙ্গল, সুবিদপুর, ভবানীপুর, মোল্লারহাট ও সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামেই গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের পুখুরিজানা গ্রামের আক্কাস খলিফার বসতঘরে গাছ উপড়ে পদে বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে লণ্ডভণ্ড নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। রাতে গাছ পড়ে সড়কে যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সকালে সড়কের ওপর পড়ে থাকা গাছগুলো অপসারণ করা হয়। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে ফসলেও ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোন তালিকা তৈরি করা হয়নি।