স্থানীয় প্রতিনিধি :
দলিল জালিয়াতির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুরের সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও দলিল লেখকসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার রাজাপুর উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার ইয়াছমীন সিকদার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন। বরখাস্তকারীরা হলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কবির হোসেন, স্থানীয় দলিল লেখক মো. জাকির হোসেন মিনু, মো. সোহাগ সিকদার ও মো. দেলোয়ার হোসেন। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজাপুর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাজাপুর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে একটি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। যার দলিল নাম্বার-১৭৮৬। দাতা ছফুরা বেগম এবং গৃহীতা মো. মাহমুদুল হক ওরফে নোমান। উভয়ই উপজেলার মনোহারপুর গ্রামের বাসিন্দা। দলিলটি রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে অফিসের কর্মচারীদের সহযোগীতায় অভিযুক্ত দলিল লেখকরা দলিলের দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ফেলেন। ৬ মাস পর গত সপ্তাহে গৃহীতা দলিল গ্রহণের সময় এ জাল জালিয়াতির ঘটনা দেখতে পায়। ঘটনাটি সাবরেজিস্ট্রার ও অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে জানান তারা। প্রাথমিক তদন্তের পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনের নাম উঠে আসে। বিষয়টি জানা জানি হলে উপজেলায় জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গত ৯ এপ্রিল জেলা রেজিস্ট্রার মো. হেলাল উদ্দীনের নির্দেশে কাঁঠালিয়ার সাবরেজিস্ট্রার মো. মাঈনুল হককে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে সতত্যা পাওয়ায় চারজনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন জেলা রেজিস্ট্রার। নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার তা কার্যকর করেন রাজাপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইয়াছমীন সিকদার।
এব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার ইয়াছমীন সিকদার সবলেন, চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঁঠালিয়ার সাবরেজিস্ট্রার মো. মাঈনুল হক বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার প্রশিক্ষণে আছেন। সেখান থেকে তিনি কর্মস্থলে আসার পরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।