স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও জমি দখলের অভিযোগ করেছেন ৩৬টি পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। রুবেলের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধেও রয়েছে জমি দখলের অভিযোগ। এমনকি কেউ জমি বিক্রি করলেও ছাত্রলীগ সভাপতিকে টাকা দিতে হতো। চাঁদার টাকা না দিলে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হতো বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩৬টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে কলেজ রোড এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, আহসান হাবিব রুবেল ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ও তার বাবা রাজাপুর সদরের ৩৬টি পরিবারের জমি দখল করেন। ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মালিকানা দাবি করে মোটা অঙ্কের চাঁদা চায়। টাকা না দিলে লোকজন নিয়ে জমি দখলে নেয় তারা। ওই জমি অন্যদের কাছে বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব কাজে বাধা দিলে মারধরও করা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ অভিযোগ দিয়েও ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার পায়নি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছাত্রলী সভাপতির বাবা তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৯২ সালে একটি জাল দলিল করে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করেন। তাতে জমির দাতা ছিলেন যামিনী বালা ও ভীবা রানী এবং গ্রহীতা তোফাজ্জেল হোসেন। যার নম্বর ২০০১/৯২। অথচ এই দলিলের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি রাজাপুর সেটেলমেন্ট ও ঝালকাঠি ভূমি অফিসে। এভাবেই উপজেলা সদর, শুক্তাগড়, সাংগর গ্রামে ৩৬টি পরিবারের জমি অনৈতিকভাবে দখল করা হয়েছে। যার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাননাশের হুমকি, হামলা ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়। তাদের বাবা ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে ভূমিহীন হয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন এই ৩৬টি পরিবার। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সংবাদ সম্মেলনে ৩৬টি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব রুবেল বলেন, একটি মহল আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য চক্রান্ত করছে। এ সব অভিযোগ মিথা, বানোয়াট ও উদ্দ্যেশ্য প্রনদিত।