ডেস্ক রিপোর্ট : মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা –এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয় ২৪ এপ্রিল। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
জানা গেছে, ১১ নভেম্বর ওয়াহিদুল হকের মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে। দায়িত্ব পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর, তিনি প্রথমে টেলিফোনে ও পরে সরাসরি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম জানান, তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে তুরিন আফরোজ জানান, সব কাজই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় করেছেন। এ বিষয়ে আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিস্তারিত বলেছি।
জানা গেছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের সব ধরনের মামলা থেকে বিরত রাখা হয়েছে তুরিন আফরোজকে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব আইন মন্ত্রণালয়ের। এটা যদি সত্যি হয় তবে মন্ত্রণালয় অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে। অভিযোগের ফাইল পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বলেছেন, এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা নিশ্চিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজকে নিয়োগ দেয়া হয় ২০১৩ সালে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বিধি মোতাবেক বরখাস্ত করা হতে পারে। আইনি পদক্ষেপও নিতে পারে সরকার।
অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা- অ্যাটর্নি জেনারেল :
মানবতাবিরোধী এক অপরাধীর সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ- এমন অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।তিনি বলেন, ‘এটা যদি সত্যি হয় তবে মন্ত্রণালয় অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে।’ বুধবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মাহবুবে আলম আরও বলেন, ‘আমি তো আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাই না, বা তাদের মামলাও পরিচালনা করি না। কাজেই এ বিষয়ে আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।’ এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। (সূত্র : যুগান্তর)