Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ঝালকাঠি থেকে ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ঝালকাঠি থেকে ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার :
মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবেধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ঝালকাঠি থেকে বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। আকস্মিক বাস ধর্মঘটের কারনে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-মঠবাড়িয়া, বরিশাল-পাথরঘাটা এই ছয় রুটের যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। দুর্ভোগের শিকার অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভাড়ার মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন। এদিকে ঝালকাঠি মালিক সমিতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বরিশাল বাস মালিক সমিতি। বরিশাল থেকেও পিরোজপুরের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বে-আইনি হলেও ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কে পুরোদমে চলছে অবৈধ মাহিন্দ্রা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। এর প্রতিবাদ করলে মাহিন্দ্রা গাড়ির মালিক ও চালকরা বিভিন্ন সময় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয়। বাস মারিক সমিতির যুগ্মসম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাসটার্মিনালে থাকা ঝালকাঠি মালিক সমিতির কয়েকটি বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয় মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা। প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার বিচার ও মহাসড়কে অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠির ওপর থেকে বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ঝালকাঠি বাসমালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি বাসমালিক সমিতির বর্তমানে ১০৬ টি বাস রয়েছে। এসব বাস সরাসরি শুধুমাত্র বর্তমানে ঝালকাঠি-বরিশাল এবং ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া রুটে চলাচল করে। এছাড়া ঝালকাঠি সমিতির বাস সমঝোতার ভিত্তিতে বরিশাল-খুলনা রুটে ৩ প্লাই (ট্রিপ), বরিশাল-মঠবাড়িয়া রুটে ৫ প্লাই, বরিশাল-পাথরঘাটা রুটে ৫ প্লাই, এবং বরিশাল-পিরোজপুর রুটে ১০ প্লাই বাস চলাচল করে। ঝালকাঠি-কাঁঠালিয়া-আমুয়া, ঝালকাঠি-কাউখালী, ঝালকাঠি-নবগ্রাম এবং ঝালকাঠি-নলছিটি- মোল্লারহাট এই চার রুটে বেশ কয়েকবছর যাবত যাত্রী সংকট এবং রাস্তার কাজ চলার কারনে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বরিশাল মালিক সমিতির কাছ থেকে বিভিন্ন রুটে ন্যায্য প্লাই না পাওয়ায় ঝালকাঠি সমিতির সাথে বরিশাল সমিতির দ্বন্ধ রয়েছে। মূলত বরিশাল সমিতির ইন্দনে মহিন্দ্রা শ্রমিকরা ঝালকাঠির বাসে হামলা ভাংচুর করে বলে দাবি ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির।
রূপাতলী বাস-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, সুমন মোল্লার অরাজকতার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাকারীকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত ও সড়ক থেকে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তবে অভিযুক্ত সুমন মোল্লা বলেন, বাস মালিক সমিতির লোকজনদের আমরা কেউ মারধর বা হামলা চালাইনি। বরংচ তারাই আমাদের মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের মারধর করেছে, গাড়ি আটকে রেখেছে। এই ক্ষোভে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ঝালকাঠির একটি বাসের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়।
ঝালকাঠি বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন, রূপাতলীর সুমন মোল্লা নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে আমাদের বাস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করা হয়। আমরা সুমন মোল্লার বিচার এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ সকল সরকারি দায়িত্বশালদের কাছে আবেদন করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বাসচলাচল বন্ধ থাকবে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …