স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী কে এম মাছুদ খানের বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার সকালে হাইকোর্টে শুনানী শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. মাহামুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে প্রতীক বরাদ্দ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ প্রদানের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক ৩ ও ৫ জানুয়ারি মাছুদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ স্থগিত করা হয় এবং কেন ওই আদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করা হয়। মাছুদ খানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। গত ৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইকালে মেয়র প্রার্থী কে এম মাছুদ খানের মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে দাখিল না করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামান মুন্সি। এ ঘটনায় মাছুদ খান ৫ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে পায়নি। পরে তিনি মঙ্গলবার হাইকোর্টে প্রার্থীতা ফিরে পেতে রীট আবেদন করেন।
মাছুদ খানের রীটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আক্তার রসুল মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইকোর্টের আদেশের ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে কে এম মাছুদ খানের প্রার্থীতা বৈধ হয়েছে। তিনি নির্বাচনে অন্য মেয়র প্রার্থীর মতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাকে সব ধরণের সহযোগিতার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফলে এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত আবদুল ওয়াহেদ খান, বিএনপির মনোনিত মো. মজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত মাওলানা মো. শাহ জালাল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কে এম মাছুদ খান প্রতিদন্দন্দ্বিতা করবেন। এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাছুদ খানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়ায় সমর্থকদের মধ্যে প্রাণ”ঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর ৪০ ও সংরক্ষিত কাউন্সির ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে ২৪ হাজার ১০১ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫১ জন নারী ও ১২ হাজার ৫০ জন পুরুষ ভোটার রয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৩টি কেন্দ্রের ৭৯ বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন।