স্টাফ রিপোর্টার :
‘’সম্পর্কে ভালো থাকুক দেশ” প্রকল্পের মাধ্যমে ঝালকাঠির আতাকাঠি চরের ২৫টি পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা বরিশাল ইয়ুথ সোসাইটি-বিওয়াইএস ও দুরন্ত ফাউন্ডেশন।
বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে করোনা নিয়েছে কর্ম ও আম্পান নিয়েছে ঘর। ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের দিনমজুর এবং অতি দরিদ্ররা। তাদের সহায়তার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। প্রকল্পটির ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে রয়েছে সিনেপয়েটিক।
বৃহস্পতিবার মাসিক খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রকল্পের যাত্রা।
এ সময়ে করোনা এবং আম্পান দুর্যোগের বিরুদ্ধে জয়ী হতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান প্রতিষ্ঠান দুটির সদস্যরা।
দুরন্ত ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, অসচ্চল ২৫টি পরিবারকে সাহায্য করবে সচ্চল ২৫ টি পরিবার। যার মাধ্যমে দুই পরিবারের মাঝে তৈরি হবে দৃঢ় একটি সম্পর্ক।
এ উদ্যোগে করোনা চলাকালীন পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে দুই হাজার টাকার মাসিক বাজার ও শিশু খাদ্য দেয়া হবে।
এছাড়াও তরুণী এবং নারীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় প্রদান করা হবে স্যানিটারি প্যাড, চরের মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়াতে আয়োজন করা হবে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ২৪ ঘন্টা টেলিমেডিসিন সার্ভিস, কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠিতে রূপান্তর করা হবে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরের কৃষিকদের প্রদান করা হবে বীজ, ২৫ টি পরিবারের মাঝে হাস-মুরগি প্রদান করার মাধ্যমে তাদের সচ্ছল করার চেষ্টা অবিরত থাকবে।
এ সময়ে প্রকল্প উপদেষ্টা মোমেনা শিফা রুমকি বলেন, আমাদের এই প্রকল্পের লক্ষ্য চরের এই ২৫টি পরিবারকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা। যার ফলে ৩ মাস পর তারা নিজেরাই নিজেদের মতো আয় করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটি ব্যক্তিগত স্পনসরশীপে চলছে। প্রত্যেক স্পোনসার মাসিক ২ হাজার টাকা দিচ্ছে। এছাড়াও ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তার মাধ্যমে এ উদ্যোগ যুক্ত হতে পারবেন।