স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশে শিক্ষার হার শতভাগে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, একটি জাতির উন্নয়নের মূল ভিত্তির পরিচয় মেলে, সেই জাতির শিক্ষার হার কতটুকো দিয়ে। শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছেন। তিনি যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন শিক্ষার হার ছিল ৪০, এখন তা ৭১ ভাগে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষার হার শতভাগে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষানীতি প্রণয়নের ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও আজ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে দাবি করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার একটি যুগপোযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। যার ফলে এ দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। এই শিক্ষা নীতির বিরোধীতা করেছিল মাদ্রাসা শিক্ষকরা, পরে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। শিক্ষানীতির ফলে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটাল হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও আজকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। প্রাইমারি স্কুলগুলোকে জাতীয়করণ করেছে। উপবৃত্তি দেওয়ার ফলে গ্রামের প্রতিটি ছেলেমেয়ে স্কুলে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ালেখা করে সর্বক্ষেত্রে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যেটা আগে কখনো ছিল না।
দেশের মানুষ ধর্ম পরায়ন, ধর্মান্ধ নয় মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, যখনই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ, তখনই এক শ্রেণির মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে সেটাকে নস্যাত করার চেষ্টা করে, দেশের সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে। যেমনিভাবে পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর আঘাত করেছিল। এখন তাদের পেতাতœারা ধর্মন্ধতার মুখোশ পড়ে এ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লপ্তি রয়েছে। আজকে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করে এ দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ ধর্ম পরায়ন, ধর্মান্ধ নয়।
বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের প্রতিফলন দেখে বিশ্ববাসী বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের চেয়ে দারিদ্র বিমোচনে অগ্রগতি লাভ করেছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চেয়েছিলন কেন, বাঙালি জাতি বিভিন্ন সময় অন্য জাতি দ্বারা নির্যাতিত ও নিগ্রিহীত ছিল। সেই জাতিকে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে আতœপ্রকাশ করবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি মুক্তি সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই দেশকে আবার পাকিস্তানি রূপে পরিচালনার চেষ্টা করেছিল। এ দেশের মানুষ তা প্রতিহত করেছে।
ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বনাথ সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান রসুল ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …