স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি সদর উপজেলার উদচড়া গ্রামের জবেদা খাতুন (৬০) ঠিকমতো চোখে দেখেন না। মানুষের কাছে হাত পেতে যা পান, তা দিয়েই চলে তিন বেলার আহার। করোনাকালে কঠোর লকডাউনে আটকে পড়েছেন তিনি। খাবারও শেষ। অনাহারেও ছিলেন একদিন। অসহায় এ নারী এক যুবকের সাহায্য নিয়ে ফোন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহারের কাছে। শনিবার বিকেলে ফোন পেয়েই ছুটে যান ইউএনও ওই নারীর কাছে। পরম মমতায় তাঁর হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে চোখে অশ্রæ ধরে রাখতে পারেননি জবেদা খাতুন।
জানা যায়, জবেদা খাতুন বাড়িতে একাই থাকেন। সদর উপজেলার উদচড়া গ্রামের মৃত নেছার উদ্দীনের স্ত্রী তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পরে অসহায় হয়ে পড়েন। মানুষের কাছে হাত পেয়ে নিজের খাবার জোগান। রাস্তায় হেঁটে মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেই দিন কেটে যায়। বিকেলে বাড়ি ফিরে রান্না করে খেয়ে ঘুমিয়ে যান। বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি চোখে কম দেখেন। বর্তমানে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনে ঘরের বাইরে বের হতে না পেরে খাদ্যসংকটে ভুগছিলেন জবেদা খাতুন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার বলেন, বৃদ্ধার মুঠোফোন থেকে আমার ফোনে একটি কল আসে। আমি ফোন রিসিভ করতেই বৃদ্ধা আমার কাছে খাদ্যসহায়তা চান। আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাতে তুলে দেই। এ সময় তিনি তাঁর ঘরের দুরবস্থার কথা বলেন। এ বয়সে তাঁর চোখে দেখতে সমস্যা হয়। আমি তাকে একটি নতুন ঘর ও চোখের চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিভাবে সহায়তা করবো। কোন পরিবারের খাদ্য নেই এমন খবর পেলেই সেখানে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।