স্টাফ রিপোর্টার :
করোনায় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বিপাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় পড়ালেখাও বন্ধের পথে। করোনাকালেও প্রাইভেট পড়তে গিয়ে জীবন দিল এক শিক্ষার্থী। তাঁর নাম ফারজানা আক্তার (১৪)। সে উপজেলার রানাপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ফারজানা রানাপাশা গ্রামের ফারুক হোসেন মুন্সির মেয়ে। বর্ষায় গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় কাঁদা লেগে যায় তাঁর পায়ে। কাঁদা ধুতে গিয়ে পা পিছলে খালের মধ্যে পড়ে যায় সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফারজানার পরিবার জানায়, পড়ালেখার প্রতি ভালবাসা ছিল ফারজানার। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় থমকে যায় তাঁর লেখাপড়া। বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি অনেক দিন, প্রাইভেটও বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় বাড়িতে বসেই বই পড়ে সময় কাটাতো সে। ১ জুলাই থেকে প্রাইভেট পড়াও শুরু করে। বাড়ি থেকে শিক্ষকের বাসায় গিয়ে পড়তে হয় তাকে। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হয় সে। রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা লাগে তাঁর পায়ে। ফারজানার সহপাঠী আশা জানায়, শিক্ষকের বাসায় যাওয়ার আগে সে রানাপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে পা ধুতে নামে। এসময় পা পিছলে জুতা খালে পড়ে যায়। পানির স্রোতে জুতা ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। জুতা ওঠাতে সে ব্যস্ত থাকায় আমি বাড়ি চলে যাই। স্কুল ব্যাগ খালের পাশে রেখে ওই জুতা ওঠাতে গিয়ে সে হয়তো খালে পড়ে যায়। এর পর থেকেই তাঁর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকে। পরে তাঁর স্কুল ব্যাগ দেখে খালে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবার। এলাকাবাসী ও ডুবুরীর দল তাঁর সন্ধান করলেও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে খালে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ফারজানার লাশ উদ্ধার করে। রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম সেলিম বলেন, দুই দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে তাঁর লাশ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে।
ফারজানার বাবা ফারুক মুন্সি বলেন, আমার মেয়ে পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বুঝতো না। বইয়ের সঙ্গেই ছিল তাঁর ভালবাসা। করোনার মধ্যে আমরা নিষেধ করলেও সে পড়াখেলার গতি সচল রাখতে প্রাইভেট পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাড়ি থেকে শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটিতে বর্ষায় কাঁদা জমে যায়। কাঁদা ধুতে গিয়ে পানিতে পড়েই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পরিবারের অনুরোধে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু পানিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই ময়না তদন্তের জন্য পরিবার আগ্রহী ছিল না।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …