স্টাফ রিপোর্টার :
ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে ঝালকাঠিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. হেমায়েত উদ্দিন, জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ইলিয়াস বেপারি ও সাধারণ সম্পাদক শামিম আহসানসহ দুটি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিম আহসান জানান, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি হলেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এ পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। দেশের সার্বিক শিক্ষার উন্নয়নকল্পে শিক্ষা ক্যাডারের নানাবিধ সমস্যা ও যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন থাকা সত্তে¡ও সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অর্জিত ছুটি সমস্যা আজও সমাধান হয়নি। পদ সৃজনের কাজ আটকে আছে নয় বছর। পদোন্নতি বন্ধ আছে দুই বছর। এই মুহূর্তে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা আছে প্রায় সাত হাজার জন।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি জেলা সভাপতি অধ্যাপক ইলিয়াস বেপারি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের অপসারণের দাবি জানালেও সেটি করা হয়নি। উপরন্তু আমরা লিখিতভাবে আপত্তি জানাবার পরেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫১২টি পদ শিক্ষা ক্যাডারের তফসিল বহির্ভূত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি র্চড়ান্ত করা হয়েছে। এটি সুস্পষ্টতই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের ওপর আঘাত। আমরা এসব কর্মকান্ডকে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল মনে করি।
তিনি আরো বলেন, এর আগে দাবি পূরণে মন্ত্রণালয়কে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবি পূরণে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এরপরও যদি তাদের দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রতি না হয়, তাহলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।