Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / নলছিটির মালিপুর দরবারে প্রয়াত পীরের ছেলেকে জবাই করে হত্যা

নলছিটির মালিপুর দরবারে প্রয়াত পীরের ছেলেকে জবাই করে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি শহরের মালিপুর আল কাদেরীয়া দরবার শরীফ এলাকায় সজল দেওয়ান (২৮) নামে এক যুবককে জবাই দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ দিকে দরবার সংলগ্ন একটি ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সজল দরবারের প্রয়াত পীর আমির হোসেন দেওয়ানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দরবারের একটি খানকায় একা বসবাস করতেন সজিব দেওয়ান। সকালে নিহতের বোন সখি আক্তার খানকার সামনে গেলে দরজা খোলা এবং ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাইয়ের লাশ দেখে চিৎকার শুরু হরে। সকালে দুর্বৃত্তরা দা দিয়ে জবাই করে তাকে হত্যা করেছে। লাশের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই মাহফুজ দেওয়ান অভিযোগ করেন, দরবার শরীফ নিয়ে চাচাদের সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। সজলকে তার চাচারা লোকজন নিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, আল কাদেরীয়া দরবার শরীফ নামে একটি ধর্মীয় খানকা রয়েছে। নিহতের দাদা কালু শাহ ছিলেন এ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে পৈত্রিকসূত্রে নিহতের বাবা আমির দেওয়ান ওই দরবার শরীফের পীরের দায়িত্ব পেলেও পরবর্তীতে অসুস্থতার কারনে দায়িত্ব নেন চাচা মাওলানা আনোয়ার দেওয়ান। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দরবারের আয়ের টাকা ও অন্যান্য সম্পদ নিয়ে চাচা ও ভাতিজাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি দরবার শরীফ পরিচালনা ও অর্থিক ভাগবাটোয়ারা নিয়ে চাচা আনোয়ার দেওয়ানকে কুপিয়ে আহত করে সজল দেওয়ান। এতে কয়েকবার উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। এরই জের ধরে সজলকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
দরবার শরীফের বর্তমান পীর আনোয়ার দেওয়ান সেলফোনে বলেন, এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে আমাদের পরিবারের কেউ জড়িত নয়। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। তাকে জবাই দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …