স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের নলছিটি উপজেলার রায়াপুর এলাকা থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম কাওছার হোসেন হাওলাদার (২৫)। সে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ভদ্রাংক গ্রামের আবদুল মালেক হাওলাদারের ছেলে। কাওছার অটোরিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ছবি দেখে আজ বুহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয়েছেন। তাঁরা লাশ নিতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে আসেন। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে পরিবারের লোকজন এখনো কিছু জানতে পারেননি। বুধবার বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের রায়াপুর এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা লাশটি ফেলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।নিহতের ফুপাতো ভাই মো. হযরত আলী বলেন, আমরা ফেসবুকে কাওছারের লাশ উদ্ধারের ছবি দেখেছি। সে দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ছবি দেখে আমরা তাকে চিনতে পেরেছে। এখন ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে এসেছি। ময়না তদন্তের পরে লাশ নিয়ে যাবো। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বরিশাল থেকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস বিকেল চারটার দিকে রায়াপুর এলাকার মাঝবাড়ির সামনে আসে। মাইক্রোবাস থেকে দুর্বৃত্তরা হাত পা বাধা অবস্থায় এক যুবকের লাশ ফেলে অল্প সময়ের মধ্যে মাইক্রোবাসটি ঘুরিয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়। বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় দুই শিশু ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান ও বরিশাল র্যাব-৮ এর কর্মকর্তারা।