স্থানীয় প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির নলছিটিতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে উপজেলার দক্ষিণ খাওখীর মেহেদীয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল খালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বরখাস্তের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার বিকেলে জানাজানি হয়।
জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল বুধবার শিক্ষক আব্দুল খালেক শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠদানের সময় বয়ঃসন্ধিকালের ওপর আলোচনা করে। পাঠদান শেষে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পাশের খালি কক্ষে ডেকে নেয় শিক্ষক খালেক। সেখানে শারীরিক শিক্ষার নামে ছাত্রীটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় শিক্ষক খালেক। ছাত্রীটি লজ্জায় কক্ষ থেকে বেড়িয়ে এসে বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে সে মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে মাদরাসায় না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রীটি তাঁর মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এরপর ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা ওই মাদরাসার সভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলীর কাছে বিষয়টি অবহিত করলে শিক্ষক আব্দুল খালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষক আব্দুল খালেকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি উপজেলা জামাতের একজন সাথী সদস্য। তিনি এর আগেও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীসহ নানা অপকর্মের হোতা। আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে গত ৯ মার্চ এতিমখানায় প্রদানকৃত ইলিশ মাছ আত্মসাতেরও অভিযোগ ওঠে। উপজেলা প্রসাশনের বিশেষ অভিযানে জব্দকৃত ইলিশ মাছ এতিম খানার নামে নিয়ে তিনি তা লোপাট করেছেন।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে দক্ষিণ খাওক্ষীর মেহেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ‘জুনিয়র শিক্ষক আব্দুল খালেককে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বরখাস্তের চিঠি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে আব্দুল খালেকের বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।