Latest News
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / জাতীয় / নলছিটিতে মামলা করে তিন নারী বাড়ি ছাড়া

নলছিটিতে মামলা করে তিন নারী বাড়ি ছাড়া

স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ফয়রা গ্রামে ভাসুরের বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিন নারী। হামলার ভয়ে ও প্রাণ হারানোর শঙ্কায় গৃহবধূ মুকুরী বেগম, তাঁর শাশুড়ি মঞ্জুরী বেগম ও ননদ হ্যাপি আক্তার আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্মরণাপন্ন হয়েও সুবিচার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। মুকুরী বেগম ফয়রা গ্রামের দুবাই প্রবাসী মনির আকনের স্ত্রী।
অভিযোগে জানা যায়, নলছিটি উপজেলার ফয়রা গ্রামের আবদুল করিম দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রথম স্ত্রীও মারা যায়। এর পরই সৎভাই বোনদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রথম স্ত্রীর সন্তান নূর ইসলাম আকন অন্যদের জমি বুঝিয়ে না দিয়ে একাই অধিকাংশ দখল করে নেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান মনির আকন ও শুক্কুর আকন দুবাই চলে যান। মনিরের স্ত্রী মুকুরী বেগম, মা মঞ্জুরা বেগম ও বোন হ্যাপি আক্তার বাড়িতেই থাকতেন। সৎভাই নূর ইসলাম আকন তাদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তাদের বাবার দেওয়া জমি দখল, গাছপালা কেটে ফেলা ও নির্যাতন করে আসছেন নূর ইসলাম, তাঁর ছেলে-মেয়েরা ও ভাড়াটে লোকজন। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর নূর ইসলাম লোকজন নিয়ে সৎভাইয়ের স্ত্রী মুকুরী বেগমকে (৩১) কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে নলছিটি থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই পুলিশ মামলার আসামি নূর ইসলাম আকন ও তাঁর ছেলে হাসান আকনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন কারাভোগের পরে জামিনে বের হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সৎভাই মনির আকনের ঘরের পেছনের টিন ছুটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে নূর ইসলাম ও তাঁর লোকজন। মনিরের স্ত্রী ও মামলার বাদী মুকুরী বেগমসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ওড়না দিয়ে বেধে ফেলেন। তারা ঘরের ভেতরে থাকা ১২ ভরি সোনার অলংকার, মোবাইলফোন, ল্যাপটপ নগদ ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়। এ ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মুকুরী বেগম বাদী হয়ে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুটি মামলা দায়ের করার পর আসামি ও তাদের স্বজনরা নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে তাদের। ভয়ে বাড়িতে যেতে পারছেন না তাঁরা। বর্তমানে তিন নারী নলছিটি শহরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়িতে ফিরে যেতে তাঁরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি তাদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানেরও দাবি জানান।
মুকুরী বেগম বলেন, আমাদের ঘরে কোন পুরুষ নেই। স্বামী বিদেশে থাকে। আমি, শাশুড়ি ও ননদ বাড়িতে থাকতাম। আমার ভাসুর মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে, তাই বাড়িতে যেতে পারছি না। আমাদের তিন নারীর জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রধানমন্ত্রী ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপার একজন নারী, আমাদের কষ্ট তাঁরা বুঝবেন। আমরা তাদের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নূর ইসলাম আকন বলেন, সৎভাই বোনদের জমি বাবা থাকাকালেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখানে আমাদের দখলের কিছু নেই। তারা আমাদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা করেছে।
ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার খান বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু করবো। প্রকৃত ঘটনাই আদালতকে জানানো হবে।

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …