স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার সূর্যপাশা এলাকার হুমায়ুন কবির খান নামের এক প্রবাসী যুবকের প্রচেষ্টায় ১৭টি মসজিদ নির্মাণ ও শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গভীর নলকূপ প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার নলছিটি পৌর এলাকার কান্ডপাশায় নির্মীত ১৭ তম মসজিদের উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, নলছিটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার আইয়ুব আলী খানের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির খান চাকুরীর জন্য ১৯৯৮ সালে সৌদি আরব যান। যখন তার বয়স ১১ তখন থেকেই আশা ছিল সূর্যপাশায় তাঁর বাড়িতে একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। প্রবাসে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের সংস্পর্শে গিয়ে মসজিদ নির্মাণের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। এতে সেখানকার অনেক বন্ধুরাই তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়। সূর্যপাশায় তাঁর বাড়িতে একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর তাঁর সততার জন্য অনেকেই মসজিদ নির্মাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। যার প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির প্রায় ২০ বছর প্রবাস জীবনে ১৭টি মসজিদ নলছিটি উপজেলায় এবং একটি সংগঠনের মাধ্যমে গাজীপুরে নির্মাণ করেছেন। তিনি ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রবাস থেকে চলে এলেও তাঁর মসজিদ নির্মাণ কাজ ও গভীর নলকূপ প্রদান কাজ অব্যাহত আছে। বিভিন্ন মসজিদ, স্কুল, প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে এ পর্যন্ত শতাধিক গভীর নলকূপ বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁর এ কাজে নলছিটি পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন সহযোগিতা করে আসছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির খান বলেন, ছোটবেলা থেকে বাড়িতে একটি সুন্দর মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতাম। প্রবাসে গিয়ে সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করার পর থেকে মসজিদ নির্মাণ করা একটা নেশার মত হয়ে গেছে। আর প্রবাসীরাও আমার সততায় ও আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে। যার কারনে ২০১৭ সালে দেশে চলে আসার পরও মসজিদ নির্মাণে অনেকে সাহায্য করছে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি গভীর নলকূপও বসিয়ে দিচ্ছি। দেশে আসার পর তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করলেও মসজিদ নির্মাণ ও টিউবওয়েল বসানোর কাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান। ১৭ তম মসজিদ উদ্বোধন করার পর ইতিমধ্যে আরো ৫টি মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মসজিদ নির্মাণ তদারকিতে থাকা নলছিটি পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি নলছিটি উপজেলার এই ব্যতীক্রমধর্মী যুবক হুমায়ুন কবির খানের জন্য সকলের কাছে দোয়াও কামনা করেন।