স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশঙ্কা করছেন এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। শুক্রবার সকাল দশটায় ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, নলছিটি ষাটপাকিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আব্দুস সালাম অবসরে যাওয়ায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে প্রধানশিক্ষক পদ শূন্য হয়। গত ১৪ মার্চ প্রধানশিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন খান সেলিম। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ১১ মে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে ২৩ জনের নামে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়। ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে কাঠিপাড়া আমিরুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মত আইরিন পারভীন অভিযোগ করেনে, নিয়োগ কমিটির চারজনের মধ্যে তিনজন প্রধানশিক্ষক পদে মো. মহিউদ্দিন মল্লিক নামে একজনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যাদের নামে ইন্টারভিউ কার্ড ছাড়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ প্রার্থীই মহিউদ্দিন মল্লিকের সেট করা। শুক্রবারের পরীক্ষায় সর্ব্বোচ্চ ৪-৫ জন অংশ গ্রহণ করবেন। আইরিন পারভীনের ধারণা পরীক্ষার আগেই মহিউদ্দিন মল্লিক নামের প্রার্থীকে পরীক্ষার প্রশ্ন জানিয়ে দেয়া হবে। যদি নিয়োগ কমিটির সদস্য ডিজির প্রতিনিধি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বিশ্বনাথ সাহা এবং নলছিটি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার আজিম প্রশ্নপত্র তৈরি না করে জেলা প্রশাসন যদি প্রশ্ন তৈরি করে তাহলে দুর্নীতিমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী বলেন, ষাটপাকিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মো. জাকির হোসেনই মূলত প্রধানশিক্ষক নিয়োগের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনিই প্রতাপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন মল্লিককে ষাট পাকিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য নিয়োগ কমিটির সদস্য নলছিটি উপজেলা মাধ্যামক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আজিম এবং ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বিশ্বনাথ সাহার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। অনিয়মের আশঙ্কার বিষয়ে নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আজিম বলেন, আমরা কারো সাথে নিয়োগের জন্য চুক্তিবদ্ধ হইনি। শুক্রবার তাৎক্ষনিক প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।