হাসান আরেফিন ও ইব্রাহীম খান সাকিল :
ঝালকাঠির নলছিটিতে পানচাষি এক পরিবারের ওপর হামলা ও বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় পানচাষি খিতিশ চন্দ্র রায়ের মা দিবা রানী রায়কে (৭০) লাঠিদিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সেওতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমিনিয়ে বিরোধের জেরে রবিবার সকালে খিতিশ চন্দ্র রায়ের বসতঘরে লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষরা হামলা চালায়। এসময় তার বসতঘরের টিনের চালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লুটে নেয়। এসময় তাঁর চাচাতো ভাই ননী গোপাল রায়ের স্ত্রী তবতী রানী রায়কে শ্লীলতাহানী করে। এতে বাধা দিতে গেলে খিতিশের মা দিবা রানী রায়কে পিটিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে মানপাশা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
খিতিশ চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, সেওতা গ্রামের ওই এক একর ৩৬ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে এ জমির মালিক তাঁরা। জমিতে তাদের পানের বরজ ও বসতঘর রয়েছে। প্রতিবেশী কালা চাঁদ রায়, বিপ্লব চন্দ্র সাহা ও রিপন সাহা ক্রয় সূত্রে মালিক দাবি করে জোরপূর্বক জামি দখল করার ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। প্রতিদিনই তাদের বসতঘরে প্রতিপক্ষরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য অগ্নিসংযোগ ও হামলা করে উচ্ছেদের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলো কালাচাঁদের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল। এর আগে তারা আমাদের জমিতে অবৈধভাবে একটি পানের বরজ তৈরি করে। আমাদের নামে দুটি সাত ধারা ও একটি চাঁদাবাজী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এদের বিচার দাবি করছি। এদিকে ঘটনার পরপরই নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ পুলিশের অপর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
গত শনিবার দুপুরে খিতিশ চন্দ্র রায়কে বসতঘর থেকে উচ্ছেদে করার আশংক্ষায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এ ঘটনার একদিন পরই রবিবার এ হামলা ও ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা।
অভিযুক্ত কালা চাঁদ রায় বলেন, নিজেরাই ঘর ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিষয় খিতিশ ও কালাচাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। বিরোধপূর্ণ জমিতে খিতিশ একটি নতুন ছোটঘর তুলতে গেলে অপর পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুর করেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।