স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠির নলছিটিতে কবুতর চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশু রিফাত হোসেন জয়ের বাবা আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় সাতজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউপি সদস্য ছাড়াও একজন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামী করা হয়।
পুলিশ জানায়, চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌরনদী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহ আলমের বাড়িতে শনিবার রাতে কবুতর চুরি হয়। রবিবার সকালে পার্শ্ববর্তী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার তবিরকাঠি গ্রামের মো. সজিব হোসেন খান (১৪) ও রিফাত হোসেন জয় (১৪) নামে দুই শিশুকে আটক করে শাহ আলম ও তাঁর ছেলেরা। পরে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিচার বসিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের নির্দেশ দেয়। এসময় জয়ের মাথার চুল কেটে দেন শাহ আলম। নির্যাতন ও চুল কাটার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতনের শিকার সজিব হোসেন খান বাকেরগঞ্জের তবিরকাঠি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে এবং রিফাত হোসেন জয় একই গ্রামের আবদুল ক্দ্দুুস হাওলাদারের ছেলে। তাঁরা দুজনেই স্থানীয় জেড এ ভূট্টো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার জয়ের বাবা। মামলায় আসামীরা হলেন সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নয় নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল শাহ আলম হাওলাদার, তাঁর তিন ছেলে জসিম হাওলাদার, শাওন হাওলাদার ও মাহফুজ হালাদার, শাহ আলমের ভাই কাঞ্চন হাওলাদার ও প্রতিবেশী ইউনুচ হাওলাদার। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো আট-দশজনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, শাহ আলম একজন পুলিশ কনস্টেবল। সে আইনের লোক হয়েও নিজের হাতে বেআইনি কাজ করেছেন। আমার ছেলে ও তাঁর বন্ধুকে মেরে আবার ব্লেড দিয়ে মাথার মাঝখান থেকে চুল কেটে দেয়।
নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।