স্থানীয় প্রতিনিধি :
সরকার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। বিদ্যুতের পাকা খুঁটি বসানো হচ্ছে সর্বত্র। পাকা খুঁটির সঙ্গে নতুন তারের সংযোগে আলোকিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। অথচ ৩০ বছরের পুরনো বিদ্যুতের খুঁটির সংযোগ এখনো ভরসা একটি গ্রামের মানুষের। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চন্দ্রকান্দা জোমাদ্দার বাড়ির সামনে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের এই খুঁটিটি পরিবর্তন করে পাকা খুঁটি লাগানো হয়নি। এ নিয়ে ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ক্ষোভের অন্ত নেই।
জানা যায়, চন্দ্রকান্দা মূল সড়কের আধাকিলোমিটার ভেতরে জোমাদ্দার বাড়ি। ১৯৮৮ সালে তৎকালী পাওয়ার ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানি (পিডিবি) ওই বাড়ির সামনে স্টীলের একটি বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে। ওই খুঁটি দিয়ে ১৫টি ঘরে সংযোগ দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৩০ বছরের মধ্যে মরিচা পরে বিভিন্ন সময় বিদ্যুতের খুঁটিটি ভেঙে যায়। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় খুঁটিটি ভেঙে যায়। তখন বাড়ির বাসিন্দারা চাঁদাতুলে ঝালাই দিয়ে মেরামত করে কোন রকমের বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছেন। নলছিটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের পাকা খুঁটি দিয়ে নতুন সংযোগ দেওয়া হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই খুঁটিটি অপসারণ করে নতুন খুঁটি দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সফলতা পায়নি বলে ওই এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল অদুদ জোমাদ্দার বলেন, আমাদের আশেপাশে চারটি বাড়ির ১৫টি ঘরে ঝুঁকিপূর্ণ এই খুঁটি দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এসব ঘরের শতাধিক মানুষ সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে, কখন বিদ্যুতের খুঁটিটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই জরুরী ভিত্তিতে আমাদের এই খুঁটিটি সরিয়ে নতুন পাকা খুঁটি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ওই বাড়ির বাসিন্দা খলিল জোমাদ্দার বলেন, অনেক বার বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে জানালেও তারা খুঁটিটি পরিবর্তন করে দেয়নি। বিভিন্ন বাড়িতে দেখি নতুন খুঁটি দিয়ে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের বাড়ির খুঁটির পুরনো চেহারাই রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় খুঁটিটি ভেঙে পড়ে গেলে আমরা নিজেরাই ঝালাই দিয়ে মেরামত করি। তবুও নতুন খুঁটি পাইনি।
এব্যাপারে ওজোপাডিকো নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফিরোজ সন্যামত বলেন, আমরা নতুন নতুন খুঁটি দিয়ে সংযোগ দিচ্ছি। অনেক পুরনো খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে নতুন খুঁটি দেওয়া যাবে। এ ব্যাপারে তাদের আবেদন করতে হবে।