Latest News
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Home / আন্তর্জাতিক / দাবানল শনাক্তের অভিনব প্রযুক্তি

দাবানল শনাক্তের অভিনব প্রযুক্তি

অনলাইন ডেস্ক : চলতি বছরেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চরম তাপপ্রবাহ জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দাবানলের প্রকোপে অনেক জঙ্গলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমন বিপর্যয় এড়ানোর ব্যবস্থা করছে কিছু মানুষ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, প্রতি বছর দাবানলের কারণে লাখ লাখ হেক্টর জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমনও ঘটে যা বিশ্বব্যাপী সিওটু নির্গমনের প্রায় ২০ শতাংশের সমান। অতি মাত্রার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনও হয়।

ড্রিয়াড নেটওয়ার্কসের কর্ণধার কার্স্টেন ব্রিংকশুল্টে বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি প্রথমবার টেলিভিশনের পর্দায় অ্যামাজন অঞ্চলের বিশাল দাবানল দেখেছিলাম। এরপর আমরা ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনে নেমেছিলাম এমনকি আমার নিজের মেয়েও তাতে শামিল হয়েছিল। তখনি মনে হয়েছিল, আমাকে এ বিষয়ে কিছু একটা করতেই হবে।’

পরবর্তীতে বিজ্ঞানী, সফটওয়ার ও কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম গড়ে তোলেন তিনি। ওই টিমের লক্ষ্য ছিল গন্ধ টের পায় এমন বিশেষ সেন্সর (আলট্রা আর্লি ডিটেকশন) তৈরি করা যাতে করে যতটা আগে সম্ভব দাবানল শনাক্ত করা যায়। কৃষিবিজ্ঞানী হিসেবে ইয়ুর্গেন ম্যুলার অনেক বছর ধরে একই ধরনের সিস্টেম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। বর্তমানে এক পরীক্ষামূলক জঙ্গলে তিনি নতুন সেন্সরের কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা করছেন। এতে তিন মিটার উচ্চতায় দক্ষিণ দিকে মুখ করে সৌরশক্তি চালিত সেন্সর বসানো আছে। অত্যন্ত কম আলো থাকলেও সেন্সরটি কাজ করে। ছায়ায় ঢাকা জঙ্গলে এটি খুবই জরুরি। এমনকি কন্ডেন্সরের সাহায্যে সেই ইন্টেলিজেন্ট নোজ রাতে ও বৃষ্টির সময়েও কাজ করে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ফরেস্ট ইকোলজিস্ট ড. ইয়ুর্গেন ম্যুলার বলেন, ‘বাতাসে নানা ধরনের উপাদান রয়েছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মোনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফেট ও নোবেল গ্যাস। সবকিছু সেন্সরই পরিমাপ করে। বাতাস থেকে অক্সিজেন কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের মিশ্রণও স্বাভাবিকভাবে বদলে যায় ও সেন্সরটি পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে মিশ্রণের নির্দিষ্ট অবস্থান জানিয়ে দেয়। এই প্রণালী আদর্শভাবে কাজে লাগাতে হলে জঙ্গল জুড়ে এক শ’ মিটার দূরত্বে একটি করে সেন্সর বসাতে হবে।’

কার্স্টেন ব্রিংকশুল্টে বলেন, ‘বিশ্বের বড় জঙ্গলে সাধারণত টেলিকম কোম্পানিগুলোর কোনো টাওয়ার থাকে না। অর্থাৎ ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল কোনো প্রযুক্তি সেখানে প্রয়োগ অর্থহীন। কিন্তু আমাদের নিজেদের যোগাযোগের অবকাঠামোর প্রয়োজন। সেটি আবার সৌরশক্তি চালিত হতে হবে। তাছাড়া বড় এলাকা জুড়ে সেটা কার্যকর হতে হবে। এই মেশ-গেটওয়ের মাধ্যমে আমরা ঠিক সেটাই সম্ভব করেছি। এর মাধ্যমে আমরা জঙ্গলের মধ্যে দুই কিলোমিটার রেঞ্জে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। এবার ধাপে ধাপে জঙ্গলের আরও গভীরে প্রবেশ করবো।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ছোট ও বুদ্ধিমান এই যান্ত্রিক নাক (আলট্রা আর্লি ডিটেকশন) কোনো লোকবল ছাড়াই অনেক কাজ করতে পারে ও কাজও বেশ দ্রুত করে।

ড. ইয়ুর্গেন ম্যুলার বলেন, ‘একটি পরীক্ষা চালালে কন্ট্রোল রুমে তার সহকর্মীরা এই গন্ধ শনাক্ত করতে না পারলেও আলট্রা আর্লি ডিটেকশন ঠিকই শনাক্ত করে ফেলে। অর্থাৎ অপটিক্যাল সিস্টেম তখনই ধোঁয়া চিনতে পারে, যখন সেই ধোঁয়া গাছের মগডালের ওপর উঠে যায়।’

জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ

নিউইয়র্কে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নাম রাখা হলো ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে নিউইয়র্কের একটি ব্যস্ততম রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ …