স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খান আরিফুর রহমান ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিমের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুৎফুন্নেসা বেগম আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৫০ হাজার জরিমানা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ থেকে নৌকার সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়ে টিঅ্যান্ডটি সড়ক দিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিমের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা যুবলীগ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম অভিযোগ করেন, তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীসমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এতে তাঁর ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমান বলেন, আমি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সারাদিন পোনাবালিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছি। আমার কর্মীসমর্থকরা বিকেলে শহরে একটি মিছিল বের করলে রাজ্জাক সেলিমের লোকজন মিছিলের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার চার-পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়।
ঝালকাঠি থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত হয়। এব্যাপারে কারো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি।