স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, সহ সভাপতি মানিক রায় ও সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস সিকদার। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝালকাঠির নিয়ন্ত্রণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। ২৭ এপ্রিল হেলিকপ্টার থেকে অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গানবোর্ড থেকে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাকবাহিনী ঝালকাঠি আক্রমন করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। হানাদার বাহিনী শহরের দখল নিয়ে ‘দ্বিতীয় কোলকাতাখ্যাত’ দেশের বৃহত্তম এ বানিজ্য বন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বাড়িঘর। এর পর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর সহায়তায় নির্বিচারে গনহত্যা, লুট-পাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় নিরিহ মানুষের ওপর। পাকবাহিনী শহরের পালবাড়ির একটি দ্বিতল ভবনে ‘টর্চারসেল’ স্থাপন করে মুক্তিকামী মানুষকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। শহরের পৌরসভা খেয়াঘাট, পালবাড়ি গোডাউনঘাট, রমানাথপুর মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়, দেউলকাঠি, গাবখান, খেজুরা গ্রামে শত শত নিরিহ বাঙ্গালীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পাক মিলিশিয়া বাহিনী ঝালকাঠির উত্তর অঞ্চলে অভিযান শেষে নৌপথে বরিশাল ফেরার সময় ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি চরে ২৭-২৮ জনের একটি রাজাকারের দল নামিয়ে দিয়ে যায়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনতা তাদের ঘেরাও করে মারধর করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সোপর্দ করে। মুক্তিযোদ্ধারা ঝালকাঠি থানা ঘেরাও করলে ওসিসহ সকল পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র সমর্পন করে। মুক্ত হয় ঝালকাঠি।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
নলছিটিতে শ্রমিক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটিতে শ্রমিক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পৌরসভা চত্বরে এ …