স্টাফ রিপোর্টার :
নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ঝালকাঠি পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ঝালকাঠি। দিনটি উপলক্ষে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির ও পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত। এতে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা ও সদস্য শ্যামল সরকার।
এদিকে সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি মুক্ত দিবস উপলক্ষে সাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভা করে। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য দেন টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন ও ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটির সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝালকাঠির নিয়ন্ত্রণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। ২৭ এপ্রিল হেলিকপ্টার থেকে অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গানবোর্ড থেকে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাকবাহিনী ঝালকাঠি আক্রমন করে। হানাদার বাহিনী শহরের দখল নিয়ে ‘দ্বিতীয় কোলকাতাখ্যাত’ দেশের বৃহত্তম এ বাণিজ্য বন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এর পর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর সহায়তায় নির্বিচারে গনহত্যা, লুট-পাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় নিরিহ মানুষের ওপর। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পাক মিলিশিয়া বাহিনী ঝালকাঠির উত্তর অঞ্চলে অভিযান শেষে নৌপথে বরিশাল ফেরার সময় ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি চরে ২৭-২৮ জনের একটি রাজাকারের দল নামিয়ে দিয়ে যায়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনতা তাদের ঘেরাও করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। শত্রু মুক্ত হয় ঝালকাঠি।