স্টাফ রিপোর্টার :
ইলিশ রক্ষা অভিযানের খবর জেলেদের কাছে মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বরখাস্তের এ আদেশ প্রদান করেন। এদিকে অভিযান চলাকালে আটক জেলেদের এক প্রতিনিধিকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. বশির গাজী জানান, শহরের সুতালড়ি এলাকা থেকে স্পিডবোট নিয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযানে নামেন তারা। স্পিডবোট চালু করার সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের কাছে এ তথ্য মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হতো। শনিবার বিকেলে সুতালড়ি এলাকার নদী তীর থেকে ইকবাল হোসেন নামে একজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা অবস্থায় আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জেলেদের প্রতিনিধি হিসেবে সোর্সের কাজ করেন বলে জানায়। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করে এনডিসি নিজের কাছে রাখেন। তাকে নিয়েই স্পিডবোটে অভিযানে বের হন তিনি। এসময় ইকবালের মোবাইলে কল করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেক। স্পিডবোট যাচ্ছে বলে তিনি ইকবালকে শতর্ক করে দেন। ফোনের কলটি ধরেন এনডিসি মো. বশির গাজী। পরে তিনি ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানায়, স্পিডবোটে অভিযানে নামার খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেককে প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং দুইটি ইলিশ মাছ দেওয়া হতো। ইকবালকে খবর জানালে, তার কাছ থেকে অন্য জেলেরা অভিযানের তথ্য জেনে নিতো। বিষয়টি এনডিসি জেলা প্রশাসককে জানালে আবদুল বারেককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন তিনি। এদিকে জেলেদের প্রতিনিধি ইকবাল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন এনডিসি। অভিযানের সময় সুগন্ধা নদী থেকে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়।