কে এম সবুজ :
ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন। ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিবেন বলে জানা গেছে। জেলায় অন্য কোন দলের প্রার্থী হিসাবে এখনো কারো নাম শোনা যাচ্ছে না। সদ্য ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর, বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, আপিল ১৯-২১ সেপ্টেম্বর, নিস্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ২৫ রসপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক, প্রবীন আইনজীবী ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জি কে মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফায়জুর রব আজাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী সরদার মো. শাহ আলম দুই দফায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে দুইবার জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। দলের দলের প্রবীন ও ক্লিন ইমেজের নেতা তিনি। সফলতার সঙ্গে জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তাকে নিয়ে দলের মধ্যে কোন বিতর্ক নেই।
এদিকে তফসিল ঘোষনার পর থেকে সর্বমহলে আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসছে জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনিরের। ছাত্রলীগের থেকে শুরু করে বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার পেছনের কারিগর পনিরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মনোয়ন চাইছেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান। তিনিও ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে কোন বেতন ভাতা না নিয়ে আলোচিত হয়েছেন। তাকে ঘিরেও চলছে প্রচারণা।
আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আরেকজন সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মো. সালাহউদ্দিন আহম্মেদ সালেক। তাকে ঘিরেও রয়েছে নেতাকর্মীদের জল্পনা কল্পনা।
আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা জেলা আওয়ামী লীগের আরেকজন সহসভাপতি ও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীন আইনজীবী জিকে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েও চলছে প্রচারণা। আইন পেশায় সফল জি কে মোস্তাফিজুর রহমানেরও রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এছাড়া রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফায়জুর রব আজাদ রয়েছেন আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকায়। তিনি এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির করছেন।
দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছেন ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য আমির হোসেন আমু যার নাম কেন্দ্রে সুপারিশ করবেন তিনিই পাবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মনোনয়ন। তাই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আমির হোসেন আমুর কাছে শুরু করেছেন তদবির। বেশরিভাগ নেতাকর্মীরাই মনে করছেন আমির হোসেন আমুর প্রার্থীই হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …