স্টাফ রিপোর্টার :
ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি এলাকার দৃষ্টিহীন মনি হালদার স্ত্রী মুক্তা হালদারকে নিয়ে পথে পথে ঘুরে সুপারি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এ দিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে তিন ছেলে ও মেয়ের লেখাপড়ারও খরচ বহন করতেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও নিপুন হাতে কাটতেন সুপারির কুচি। দরিদ্র্য হলেও সুখের সংসারে তাঁর কষ্ট ছিল না। রবিবার সকালে মনি হালদার ব্রেন স্টোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুই দিন ধরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মনি হালদারের অসুস্থতার খবর পেয়ে সোমবার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন ছবির হোসেন নামের এক মানবিক মানুষ। তিনি অসুস্থ মনি হালদারের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা স্ত্রী মুক্তা হালদারের হাতে তুলে দেন। এ সময় মানবিক ছবির হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মনি হালদারের স্ত্রী মুক্তা হালদার।
ছবির হোসেন বলেন, মনি হালদার খুবই কষ্ট করে সংসার চালায়। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে ছুটে আসি। পরে জানতে পারি সে স্টোক করেছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য আমি ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। চিকিৎসায় তাঁর যতো ব্যয় হবে, তা আমি দিবো।
মনি হালদারের স্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ছবির ভাই একজন মানবিক মানুষ। বিপদে আমাদের যখন কেউ খবর নিচ্ছিল না, তখন ছবির ভাই এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি যেন এভাবে অসহায় মানুষের পাশে সব সময় থাকতে পারেন, সেই দোয়া করি।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত¡াবধায়ক ডা. ইমাম হোসেন জুয়েল বলেন, মনি হালদার ব্রেন স্টোক করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা সব সময় তাঁর খেয়াল রাখছি।
জনতার কণ্ঠ 24 সংবাদ
বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা আ.লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে …